হাইলাইটস
- রোগ থাক বা না থাক, সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে আপনি কী খাচ্ছেন তার ওপর।
- Diabetes-এর মতো অসুখে এই নির্ভরতা অনেকটাই বেশি।
- সুগার রোগীরা কার্বহাইড্রেট যত কম খাবেন তত ভালো বলে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
Diabetes আসলে দুই ধরণের। টাইপ ওয়ান ও টাইপ টু। আমরা সচরাচর যাকে ডায়াবেটিস বলি, তা আসলে টাইপ টু। কারণ এ ধরনেই বেশির ভাগ ডায়াবেটিক রোগী আক্রান্ত। তাই ঝুঁকি এড়াতে, আপনার প্রথমে খাওয়া পরিবর্তন করা উচিত। ডায়েটে এমন কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যা রক্তে শর্করার বর্ধিত স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। Diabetes রোগীদের ডায়েটে বিশেষত শুকনো ফল অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, Diabetes-এর সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকির কারণগুলি রোধ করতে বাদাম উপকারী হতে পারে। বাদাম কী ভাবে Diabetes-এ সহায়ক? জেনে নিন…
বাদাম খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
বাদাম পুষ্টির চমৎকার উৎস। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আপনি Diabetes-এর রোগী হলে সব ধরনের বাদাম খাওয়া আপনার জন্য ভালো নয়, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে কিছু বাদাম রয়েছে, যেগুলো Diabetes রোগীদের জন্য উপকারী। বাদাম সচেতনভাবে খেলে সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
বাদামের মধ্যে কী রয়েছে?
ক্যালোরি: 161
ফাইবার: 3.5 গ্রাম
প্রোটিন: 6 গ্রাম
কার্বস: 2.5 গ্রাম
ফ্যাট: 14 গ্রাম
37% ভিটামিন ই
32% ম্যাগনেসিয়াম
এইভাবে বাদাম Diabetes-এর ঝুঁকি কমায়
সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা রোজ বাদাম খেতেন তাঁদের Diabetes এবং খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল কোলেস্টেরল) উভয়ই নিয়ন্ত্রণে ছিল। অন্যদিকে ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচডিএল স্তর ভালো বলে দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও, তাঁদের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ছিল। অন্যদিকে যাঁরা বাদাম খাননি তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। তাই ডায়াবিটিসের ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বাদামই একমাত্র উৎস।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী তিন বাদামের কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা
কাঠবাদাম
গবেষণায় বলা হয়, কাঠবাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজের মাত্রা ঠিকঠাক রাখতে কাজ করে। এ ছাড়া এটি দৈনিক ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদাও পূরণ করে। তবে কাঠবাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে লবণহীন ও ভাজা হয়নি এমন বাদাম খাবেন।
ওয়ালনাট
ওয়ালনাটের মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ক্যালরি। তবে এটি তেমন ওজন বাড়ায় না। ওবেসিটি অ্যান্ড মেটাবোলিজম জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, ওয়ালনাট খেলে পেট ভরা ভরা লাগে। এতে অন্য খাবার খাওয়ার আগ্রহ কমে। আরেকটি গবেষণায় বলা হয়, এটি ইনসুলিনের মাত্রা ঠিকঠাক রাখতে কাজ করে।
চিনাবাদাম
চিনাবাদাম আঁশ ও প্রোটিনের চমৎকার উৎস। টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি খুব উপকারী। এটি রক্তের সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে। প্রতিদিন ২৮ থেকে ৩০টি কাঁচা বাদাম খেতে পারেন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-07-14 09:48:13
Source link
Leave a Reply