বাঙালীর চুলের রংটা সাধারণত কালোই হয়, বড়জোর একটু বাদামি ভাব থাকতে পারে তাতে। এ ছাড়া অন্য কোনো রঙের ছোঁয়া আনতে হলে সেই চুলে ডাই করা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু আসলেই কী তাই? বিভিন্ন ধরণের কেমিকেলে চুল ভরিয়ে ফেলা ছাড়াও আপনি হালকা করে আনতে পারেন চুলের রং। এর জন্য একদম ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি আসতে পারে আপনার কাজে। চলুন, দেখে আসি চুলের রং হালকা করার কিছু প্রাকৃতিক উপায়।
১) ক্যামোমাইল টি
বড় একটা মগে ফুটন্ত গরম পানি নিন (সাবধানে!)। এতে একটা ক্যামোমাইল টি-ব্যাগ রেখে দিন ১০ মিনিট। এই চা ঠাণ্ডা হলে আপনার পরিষ্কার চুল এতে ধুয়ে নিন এবং সারারাত চুল এভাবেই রাখুন। সকালে ধুয়ে ফেলুন। এই কাজটি করতে থাকুন যত দিন না চুল পছন্দমত হাল্কাহয়। ক্যামোমাইলের রয়েছে উপকারী এসেনশিয়াল অয়েল। এটা খুশকি দূর করতেও কার্যকরী।
২) লেবুর রস
হাইলাইট করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রস। এক টুকরো লেবু নিয়ে চুলের কিছু অংশ আলাদা করে তাতে ঘষুন। এছাড়াও দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে নিন এবং এটা পুরো চুলে মাখিয়ে নিতে পারেন। এরপর রৌদ্রে বসে চুল শুকিয়ে নিন। এর পর অবশ্যই চুলে রজন্য ভালো কোনো মাস্ক ব্যবহার করতে হবে কারণ লেবুর রস এসিড হিসেবে কাজ করে।
৩) দারুচিনি
দারুচিনির হেয়ার মাস্ক খুবই নিরাপদ একটি উপায় যাতে চুলের রং হালকা করা যায়। কারণ এটা খুবই ধীরে এবং অল্প অল্প করে চুলের রং পরিবর্তন করে। এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটা নিজের প্রিয় কন্ডিশনার চুলে মাখুন। এর ওপরে দিয়ে দিন দারুচিনির মিশ্রণ। মাথা ঢেকে রাখুন একটা শাওয়ার ক্যাপ দিয়া। অন্তত ছয় ঘন্টা রাখুন এভাবে। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
৪) বেকিং সোডা
শ্যাম্পু হিসেবে বেকিং সোডা ব্যবহার করাটা ঠিক যুক্তিযুক্ত না হলেও চুলের রং হালকা করার ক্ষেত্রে একে ব্যবহার করা যেতে পারে বটে। এক চা চামচ বেকিং সোডা পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন এবং এটা শ্যাম্পুর পরে ও কন্ডিশনার ব্যবহারের আগে চুলে ব্যবহার করুন। এটা চুলের কিউটিকল সরিয়ে দিতে পারে, তাই ক্ষতিগ্রস্ত চুলে ব্যবহার না করাই ভালো।
এছাড়াও চুলের রং হালকা করতে আরও যেসব উপাদান কাজে আসতে পারে তারা হলো-
– ভিনেগার
– অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
– মেহেদি
– মধু
– লবণ
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-13 11:49:48
Source link
Leave a Reply