হাইলাইটস
- মনে রাখবেন ডিভোর্স শুধু আপনাদের দুজনের জন্য মানসিক ধাক্কা নয়, প্রবল মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে আপনার সন্তানও।
- বিশেষ করে ডিভোর্সের আগে বাবা-মার মধ্যে যে অশান্তি মনোমালিন্য সে প্রত্যক্ষ করেছে, সেটাও তার কোমল মনে প্রভাব ফেলেছে।
- তাই যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন, তাতে আপনাদের সন্তানের কতটা মঙ্গল হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখতেই হবে।
বাবা-মার ডিভোর্স সন্তানের মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। তাই স্বামী স্ত্রী যে কোনও কারণেই হোক একসঙ্গে থাকতে না পারলেও সন্তানকে বড় করে তোলার কাজটা একসঙ্গেই সমান দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও co-parenting সফল ভাবে করার জন্য কয়েকটি টিপস দেখে নিন।
* এতদিন জীবনটা যে ভাবে চলছিল, ডিভোর্সের পরে সেই চেনা দুনিয়াটা বদলে যায় অনেকটাই। স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান – সবার জন্যই সামনে অনেক নতুন চ্যালেঞ্জ আসে। বদলে যায় শিডিউল। এই অবস্থায় প্রথম কয়েক সপ্তাহ নিজেকে এবং সন্তানকে নতুন জীবনযাত্রায় গুছিয়ে নিয়ে সময় দিন।
* মনে রাখবেন ডিভোর্স শুধু আপনাদের দুজনের জন্য মানসিক ধাক্কা নয়, প্রবল মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে আপনার সন্তানও। বিশেষ করে ডিভোর্সের আগে বাবা-মার মধ্যে যে অশান্তি মনোমালিন্য সে প্রত্যক্ষ করেছে, সেটাও তার কোমল মনে প্রভাব ফেলেছে। তাই যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন, তাতে আপনাদের সন্তানের কতটা মঙ্গল হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখতেই হবে।
* নিজের খেয়াল না রাখলে সন্তানের খেয়াল রাখতে পারবেন না। পুরনো তিক্ততা ভুলে গিয়ে নিজেকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করুন। আপনি যদি মনমরা হয়ে থাকেন বা খিটখিটে হয় যান, সেটা সন্তানের পক্ষে কষ্টদায়ক হবে। তাই সন্তানের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিজেরও যত্ন নিন।
* সন্তান বাবা মা দুজনেরই সঙ্গ চায়, সেটা মনে রাখুন। co-parenting খুব একটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। সন্তানের মানসিক চাহিদার কথা ভাবুন। তার সামনে আপনার ডিভোর্স হয়ে যাওয়া স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
* ছোট ছেলেমেয়েরা সব সময়ই দাদু ঠাকুমা বা দাদু দিদিমার সঙ্গ পছন্দ করে। তাদের জন্য এটা খুবই জরুরিও। বাবা-মার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে দাদু-ঠাকুমা বা দাদু-দিদিমাকে আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরে বাচ্চারা। তাদের থেকে এটা কেড়ে নেবেন না। এতে আপনার কাজও অনেকটা হালকা হয়ে যাবে।
* সন্তানকে কখনও বাবা বা মার মধ্যে থেকে একজনকে বেছে নিতে বলবেন না। ওকে বলুন যে যার কাছে যখন ইচ্ছে, তার কাছে তখন থাকতে পারে। না হলে ওদের মধ্যে নিরাপত্তার অভাব দেখা দিতে পারে।
* আপনার প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে মুখোমুখি বসে সন্তান পালন করার বিষয়ে কিছু পরিকল্পনা করে নিন। কী ভাবে কিছুটা করে সময় একসঙ্গে কাটাবেন, তা স্থির করে নিন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-12 13:33:03
Source link
Leave a Reply