হাইলাইটস
- JagannathDev-এর রান্নাঘর এক অদ্ভুত জায়গা!
- পুরীর মহাপ্রসাদের এমনই গুণ যে, কোনও দিন সেখানে প্রসাদ বাড়তিও হয় না, আবার নষ্টও হয় না।
- মানুষের বিশ্বাস স্বয়ং লক্ষ্মী JagannathDev-এর ভোগ রান্না করেন।
- বছরের ৩৬৫ দিন জগন্নাথ মন্দিরের পিছনে এই রান্নাঘরেই তৈরি হয় Mahaprasad।
রোষা ঘর রয়েছে ৭৫২টি উনুন, Mahaprasad রান্নার কাজে থাকেন তিনশ’রও বেশি রাঁধুনি। যাঁদের বলা হয় সূপকার। রান্নার সময় সূপকার সারাক্ষণ নাকে মুখে গামছা জড়িয়ে থাকেন। রান্নার জন্য কোনও বিদ্যুৎ বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না। কাঠের আগুনের উপর অনেকগুলি তেলের ল্যাম্প বা বাতি ঝুলিয়ে রাখা হয়। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষের রান্না করা হয় এখানে।
এখানকার রান্নার কৌশল চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। উনুনগুলিতে একটির উপর একটি মাটির পাত্র বসানো হয়। একটি উনুনে ৭টি পাত্র থাকে আর নীচে থাকে আগুন। কিন্তু অলৌকিক বিষয়, সবার আগে রান্না শেষ হয় সবথেকে উপরে যে পাত্রটি থাকে। রোজই নতুন পাত্রে Mahaprasad রান্না হয় এখানে। আরও একটি অলৌকিক বিষয় রয়েছে এই রান্না ঘরে। লোকমুখে শোনা যায়, গঙ্গা আর সরস্বতী নদী একই সঙ্গে প্রবাহিত হয়েছে এই রান্নাঘরের ভিতর দিয়ে। তবে তা বাইরে থেকে দেখা যায় না। এই দুই নদীর জল দিয়েই রান্না হয়।
বাইরে থেকে আনা কোন খাবারই JagannathDev-কে দেওয়া যায় না। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সংগ্রহ করা কাঁচা জিনিস রান্নাঘরে রান্না করে মহাপ্রভুকে দেওয়া হয়। জগন্নাথের ভোগে মূলত দুই রকমের ভোগ নিবেদন করা হয়। ভাত, ডাল, তরকারি, খিচুড়ি জাতীয় রান্না করা খাবারকে শঙ্খুড়ি বলা হয়। আর খাজা, গজা, খই, মুড়কি জাতীয় শুকনো খাবারকে শুখুলি বলা হয়। এ ছাড়া থাকে নানা রকমের খিচুড়ি। এর সঙ্গে থাকে মিষ্টি। বলরামের বিশেষ ভোগে থাকে ক্ষীর এবং মালপোয়া। ফুটন্ত জলে সবজি এবং মশলা দিয়ে তৈরি করা হয় মহাপ্রভুর রান্না। তবে, পেঁপে, আলু, টমেটো, কাঁচা লঙ্কা ব্যবহার করা হয় না। মূলত দেশীয় সবজি যেমন রাঙ্গাআলু, পটল, কাঁচকলা, কাঁকরোল থাকে। তবে রথের দিন জগন্নাথের ভোগে থাকে বিশেষ ৫৬টি পদ।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-12 10:38:46
Source link
Leave a Reply