দিনকে দিন বাড়ছে মানুষের কাজের পরিমাণ, ব্যস্ততার পরিমাণ। কাজে যাওয়ার সময় কিংবা সারাদিন ছোটাছুটি করে এসে ঘরে ফিরে তাই একজন মানুষের পক্ষে খুব স্বাভাবিকভাবেই যন্ত্রনাদায়ক বিষয় হয়ে দাড়ায় ত্বকের যত্ন নেওয়া। বেশিরভাগ সময় কর্মজীবীরা এড়িয়ে বা ভুলেই যান অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই কাজটির কথা। না, তাতে খুব একটা সমস্যা নেই! কিন্তু সমস্যা দেখা যায় তখন যখন একেবারে না করলেই নয় এমন কিছু ব্যাপারকে অবহেলা করেন কেউ। ত্বকের পাকাপাকিভাবে বারোটা বেজে যায় দিনের এই একটুখানি অবহেলাতেই। তাই চলুন জেনে নিই প্রতিদিন ত্বকের যত্নে অবশ্যই করণীয় পাঁচটি কাজকে।
১. পরিষ্কার করা
খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের ত্বককে সুস্থ রাখতে, ত্বকের মৃত কোষগুলোকে সরিয়ে সতেজ আর প্রাণবন্ত করে তুলতে সেটাকে পরিষ্কার করা উচিত রোজ। অনেক সময় ত্বকের জন্য উপকারী দ্রব্য বা মেক-আপের মতন প্রসাধনীগুলোই অনেকক্ষণ ধরে রেখে দিলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ত্বক। সেই সাথে বাইরের ধুলো-ময়লা তো আছেই। আর তাই খুব ভালো করে দিনে কয়েকবার পরিষ্কার করে নিন আপনার মুখমন্ডলের ত্বক। এক্ষেত্রে অবশ্যই সাবানকে এড়িয়ে চলুন। কারণ, নাহলে সাবান আপনার ত্বককে করে দেবে কর্কশ। এছাড়াও শুষ্ক ত্বকের জন্যে অ্যালকোহল মুক্ত, ক্রিমি কোনকিছু ব্যবহার করুন। তবে যেটাই ব্যবহার করুন না কেন খেয়াল রাখবেন যাতে সেটা অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে আপনার ত্বকের ওপর থাকে।
২. পানি পান করা
আমাদের শরীরের বেশিরভাগই পানি। আর তাই প্রতিদিন বেশ খানিকটা পানি নিয়ম করে পান করা উচিত। অন্যথায় শরীরের ভেতরকার জীবাণুগুলো ভেতরেই জমে থাকবে। শরীর শুষ্ক হয়ে পড়বে। দূর্বলতা দেখা দেবে শরীরে। আর সবচাইতে বাজে প্রভাব পড়বে ত্বকে। ত্বকের নানা রকম রোগে পড়তে হবে আপনাকে। ত্বক হয়ে পড়বে নিস্তেজ। তাই ত্বককে ভালো রাখার জন্যে প্রতিদিন অন্তত ২ লিটার পানি পান করুন ( হাউ স্টাফ ওয়ার্কস )।
৩. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা
খুব বেশি পরিবর্তন নয়, বরং বাড়তি কিছু প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এ্যাসিডকে খাদ্যতালিকায় যোগ করে নিন। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬ আপনাকে সাহায্য করবে। এগুলো পাওয়ার জন্যে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন পোল্ট্রি, খাবার তেল, শস্যের মতন উপাদানগুলো। এগুলো শরীরে লিপিড দ্বারা তৈরি কোষ ঝিল্লি গড়ে উঠতে সাহায্য করে। যেটা কিনা ত্বকের জন্যে খুবই উপকারী।
৪. রোদ প্রতিরোধক ক্রিম ব্যবহার করা
সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচাতে রোদ প্রতিরোধক ক্রিম ব্যবহার করতে অবশ্যই ভুলবেননা। কারণ এটি ছোটখাটো সমস্যা থেকে শুরু করে ত্বকের ক্যান্সার অব্দি তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ঘরের বাইরে বেরোবার আগে মুখমন্ডলে রোদ প্রতিরোধক ক্রিম অর্থাৎ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ করা
শরীরের নানাবিধ কাজে আসা ছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধ ও ত্বকের সুস্থ রাখার পেছনে প্রচন্ড পরিমাণে অবদান রাখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর ভেতরে ভিটামিন ই ( শস্য, আপেল ইত্যাদি ) আমাদের শরীরের কোলাজেন তৈরি ও ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই একজন সুস্থ মানুষের তাই গ্রহণ করা উচিত। এর পাশাপাশি প্রতিদিন ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং পরিমাণমতন জিঙ্ক গ্রহণও ত্বকের পক্ষে খুব উপকারি ( ওয়েবএমডি )।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-11 20:57:07
Source link
Leave a Reply