চুলের খুশকি নিয়ে কম-বেশি আমরা সবাই-ই সচেতন আর সেটার প্রতিষেধকের কথাও জানি ভালোভাবেই। কিন্তু চুলের একটু নিচেই চোখের উপরে মুখের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা স্থান জুড়ে থাকা ভ্রু কিন্তু বাদ পড়ে যায় প্রায় সবসময়ই। মাথার চুলের মতন কি ভ্রুতে খুশকি হয়না? হয়। আর এতে সমস্যাও দেখা যায় অনেক বেশি। চুলের খুশকি না হয় মাথায় কাপড় জড়িয়ে সবার চোখ এড়ানো যায়। কিন্তু ভ্রুর খুশকি? ওটা চোখে পড়ে যায় সকলের খুব সহজেই। আর তাই চলুন দেখে নিই এই অত্যন্ত বিরক্তিকর ভ্রুর খুশকিকে প্রতিরোধ করার কিছু চটজলদি উপায়।
সাধারণত ব্লেফারিটিস, জাঙ্ক ফুড খাওয়া, পানি কম খাওয়া ও অস্বাস্থ্যকর দৈনন্দিন কর্মতালিকার কারণে ভ্রুতে খুশকি দেখা দিতে পারে। আর সেটা একটাসময় ছড়িয়ে যেতে পারে চোখের পাতাতেও। চোখের ভ্রু আর পাতা- দুটোতেই জন্ম নেওয়া ও জমে থাকা বিচ্ছিরি খুশকির জন্যে রয়েছে ঘরোয়া এবং এর বাইরের- দুটো পদ্ধতিই। পদ্ধতিগুলো দেখে নিন আর বেছে নিন নিজেরটা।
১. শ্যাম্পু ও ময়েশ্চারাইজার
চুলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা শ্যাম্পুগুলোর ভেতরেই ভালো কোন শ্যাম্পু নিয়ে ব্যবহার করুন ভ্রুতে। তবে খুবই সাবধানে। কারণ এক্ষেত্রে একটু এদিক-ওদিকের কারণে আপনার চোখেও চলে যেতে পারে শ্যাম্পু। আর এছাড়াও প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভ্রুর ওপর খানিকটা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন ( টোটাল বিউটি )। এতে করে চামড়া নরম থাকবে আর খুশকি হবার সম্ভাবনাও থাকবেনা।
২. বাদাম তেল
প্রতিদিন ঘুমোবার আগে ভ্রুতে বাদাম তেল ব্যবহার করুন। এতে করে কেবল ভ্রুর খুশকির হাত থেকেই আপনি মুক্তি পাবেন না, বরং আপনার ভ্রু হয়ে উঠবে অনেক বেশি সুস্থ ও শক্তিশালী ( স্টাইল ক্রেজ )। অনেকসময় অনেকের চোখের পাতা লম্বা করার ইচ্ছে থাকে। বাড়ানোর ইচ্ছে থাকে। বাদাম তেলের একটু অল্প ম্যাসাজ আপনার চোখের পাতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৩. লেবু, মেহেদী ও আমলকি
তেল, সাবান বা শ্যাম্পুর দিকে না গিয়ে একদম প্রাকৃতিক কিছু ব্যাপারও আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন ভ্রুর খুশকি দূর করতে। এক্ষেত্রে লেবুর রস একটা কটন বাডে মিশিয়ে আপনার ভ্রুর ওপর ঘষুন। এরপর সেটাকে ২০ মিনিট অব্দি শুকোতে দিন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে একবার লেবুর রস লগান ভ্রুতে। তবে কেবল লেবুর রসই নয়, এছাড়াও আপনি ব্যবহার করতে পারেন মেহেদী পাতা বাটা বা আমলকি বাটা( আই কেয়ার )। ত্বকের পুষ্টি বজায় রেখে খুশকিকে একেবারে দূর করতে বেশ সাহায্য করবে আপনাকে এই প্রাকৃতিক ভেষজগুলো।
৪. নিমপাতার নির্যাস
নিমপাতা এমনিতেই ভেষজ হিসেবে খুব ভালো। তবে শুধু তাই নয়, এর ব্যবহারে আপনার ভ্রুর যেকোন প্রদাহও সেরে উঠবে সহজেই। এজন্যে প্রথমে পরিষ্কার পানিতে নিমপাতা নিয়ে ডুবিয়ে রাখুন এবং পরবর্তীতে সেটাকে সেদ্ধ করে নিন। মিশ্রণটিকে ভ্রুর ওপরে ভালো করে লাগান আর ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন ।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-08 17:43:47
Source link
Leave a Reply