সমস্যাঃ আমার বয়স ২২ বছর। ওজন ৪৬ কেজি। তিন বছর ধরে আমি বমির সমস্যায় ভুগছি। সারাক্ষণ বমির বেগ হয়। কখনো কখনো বমি হয়। খাবারে অনীহা। হাত-পায়ে সামান্য চুলকানি হয়। দুই-তিন লোকমা ভাত খাওয়ার পরই বমির বেগ শুরু হয়। মনে হয় ভেতর হতে নাড়িভুঁড়ি সব বেরিয়ে আসছে। আর খেতে পারি না। সারাক্ষণই ঢেকুর ওঠে। পেটে কোনো প্রকার ব্যথা ও জ্বালাপোড়া নেই। বুক ও গলা জ্বলে না। একজন গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারোলজি বিশেষজ্ঞ দেখিয়েছি। তিনি এন্ডোসকপি, এইচবিএসএজি, এসজিপিটি এবং আরও কিছু পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরীক্ষার পর তিনি বললেন, সামান্য গ্যাসের সমস্যা, শরীর দুর্বল।
এইচবিএসএজি নেগেটিভ। তিনি আমাকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দেন। নিয়মিতভাবে ওষুধগুলো শেষ করি। কিন্তু বমি বন্ধ হয়নি। পরে আরও তিনজন ডাক্তারের কাছে যাই। একজন আমাকে এইচ পাইলোরি ও মলমূত্র পরীক্ষা করতে দেন। এইচ পাইলোরি নেগেটিভ এবং অন্য টেস্ট রিপোর্টও ভালো। তিনিও আমাকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দেন এবং অন্য ডাক্তাররাও বিভিন্ন গ্রুপের একই ওষুধ দেন। কিন্তু আজও আমি বমি থেকে মুক্তি পাইনি। বেশ কিছু ট্যাবলেট চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাই। তাতেও কাজ হয়নি। আমি হতাশ হয়ে পড়েছি। কোনো কিছু ভালো লাগে না। আমি কী করতে পারি? আমি কি কোনো দিনও ভালো হব না? আমি কি সুস্থ জীবনে ফিরে যাব না? উল্লেখ্য, আমি তিন বছর আগে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে ভালো হয়েছিলাম।
মো· ফারুক, কুমিল্লা
পরামর্শঃ আপনার রোগের লক্ষণ থেকে মনে হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশ ভালোভাবেই আছে। আপনার মানসিক দুশ্চিন্তা রয়েছে খুব বেশি, যদিও রোগগুলো খুব বেশি জটিল নয়। বেশি চিন্তা করবেন না।
তবে আপনার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। আপাতত পুরো পেটের আলট্রাসনোগ্রাম করান এবং ট্যাবলেট ফ্রানজিট একটি করে রাত ও ট্যাবলেট ম্যাক্সপ্রো-২০ মিলিগ্রাম সকালে-রাতে একটি করে এক মাস সেবন করুন। এতে আপনার বর্তমান অবস্থার কোনো উন্নতি না হলে মেডিসিন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন।
পরামর্শ দিয়েছেন
অধ্যাপক ডা· এ বি এম আবদুল্লাহ
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ২০, ২০০৮
জুটন
আমার মা এর বয়স ৫৬ বছর। আমার মার গত ২ মাস আগে টাইফইদ ধরা পরে । ওনার ডাইবেটিস ও পেসার আছে। টাইফইদ চিকিৎসা করার পর থেকে ওনার বমি হওয়া শুরু হই। এখন আর থামছা না। বমি হইয়ার আগে জর আসে। কখন কখন তা ১০১ থেকে ১০৩ পর্যন্ত যাই। এখন তা প্রকট আকার ধারন করেচে। জর আসালে শরিল বেথা করে। কিছু ঠিক করে খেতে পারে না। শরিল দিন দিন শুকিয়া যাচ্ছে। কোন জটিল রোগার লক্ষন কিনা জানতে চাই আর কি করনিও তাও বুলবেন।
Bangla Health
ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকা উচিত।