দাড়ি কামানোর কিছু ভুল ত্বককে খসখসে ও রুক্ষ করে তোলে। তাই সঠিক নিয়মে দাড়ি কামানো খুব জরুরি। ভারতীয় ওয়েবসাইট টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে দাড়ি কামানোর কিছু সঠিক উপায়ের কথা।
১. মুখ ধুয়ে নিন
দাড়ি কামানোর আগে উষ্ণপানি এবং ফেস ওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। তবে খুব গরম পানি দিয়ে মুখ ধোবেন না। এতে শুষ্ক ত্বকে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।
২. বিরতি নিন
অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা প্রতিদিনই দাড়ি কামান। এটি ত্বকের ওপর চাপ তৈরি করে। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন দাড়ি কামাবেন না। এতে ত্বককে কিছুটা বিশ্রাম পাবে।
৩. বৃত্তাকার গতি
মুখে বৃত্তাকার গতিতে (সারকেল মোশন) শেভিং জেল বা ক্রিম লাগান। এভাবে লাগালে সব জায়গায় ভালোভাবে ক্রিম পৌঁছাবে এবং দাড়ি কামাতে সহজ হবে।
৪. চাপ দিন, তবে ধাক্কা নয়
অনেকেই ভাবেন শক্তভাবে চাপ বা ধাক্কা দিয়ে দাড়ি কামালে ভালোভাবে কামানো যায়। তবে আধুনিক রেজরগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যে এখানে খুব বেশি ধাক্কা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাই শক্তভাবে চাপ না দিয়ে ব্লেডকে ত্বকের সংস্পর্শে এনে আস্তে আস্তে কাজটি করবেন।
৫. গোসলের সময়
আপনি যদি খুব ভালোভাবে দাড়ি কামাতে চান, তবে গরম পানি দিয়ে গোসলের সময় বা পরপরই এটি করতে পারেন। কারণ বাষ্প দাড়ির গোড়া নরম করে।
৬. শেভিং অয়েল
দাড়ি কামানোর সময় অস্বস্তি হলে বিভিন্ন ধরনের শেভিং অয়েল বাজারে পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। এগুলো ত্বককে আরাম দেবে।
৭. অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন
বারবার দাড়ি কামানোর কারণে ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই এই শুষ্কতা রোধে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
৮. আফটার শেভ লোশন এড়িয়ে যান
আফটার শেভ লোশনের নানা উপাদান ত্বককে শুষ্ক করে দেয়। একে ত্বকের প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই চেষ্টা করুন এটি ব্যবহার না করার।
৯. ভোঁতা ব্লেড ব্যবহার করবেন না
দাড়ি কামাতে কখনোই ভোঁতা ব্লেড ত্বকে ব্যবহার করবেন না। এটি ত্বকে প্রদাহ, লালচে ভাব তৈরি করে। আর একই রেজার দিয়ে বারবার দাড়ি না কামিয়ে কিছুদিন পরপর এটি পরিবর্তন করুন।
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-07 12:34:44
Source link
Leave a Reply