হাইলাইটস
- ঋতুচক্র বা Period অনিয়মিত কিনা বোঝার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে নেওয়া দরকার।
- প্রত্যেক মহিলার ঋতুর প্যাটার্নটা আলাদা হয়। কারও একেবারে ঘড়ির কাঁটার মতো নিয়মিত ব্যবধানে ফিরে আসে Period।
- কারোর ক্ষেত্রে আবার তারিখের ঠিক না থাকাটাই দস্তুর।
আপনার সহকর্মীর Period সাইকেল ২৭ দিনের, আবার আপনার ক্ষেত্রে মাঝে-মধ্যেই মাস পেরিয়ে যায়? চিন্তা নেই, আপনি মোটেই অনিয়িমত Period-এর সমস্যায় ভুগছেন না, হয়তো আপনার Menstrual Cycle ৩২ দিন পর ফিরে আসে!
হ্যাঁ, জেনে রাখুন যে, ২৪-৩৮ দিনের ব্যবধানটা অস্বাভাবিক নয়। কারোর কারোর Period মাত্র দু’দিন স্থায়ী হয়, কেউ আটদিন পর্যন্ত ঋতুমতী থাকেন – এটাও স্বাভাবিক। তবে, যদি আপনার ক্ষেত্রে Menstrual Cycle ফিরে আসা বা স্থায়ী হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট প্যাটার্ন না থাকে, অর্থাৎ কোনও মাসে হয়তো ২৫ দিনের মাথায় রজস্বলা হলেন, আবার তার পরের মাসে ৪০ দিন পেরিয়ে গেলো বা হয়তো এক মাসে পাঁচদিন Period হল, পরের মাসে তা দেড় দিনও স্থায়ী হল না – এমন হলে কিন্তু বুঝতে হবে যে আপনার ঋতুচক্র সত্যিই অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া, যদি আপনার স্বাভাবিক রক্তপাতের পরিমাণে কোনও পরিবর্তন দেখেন, তা হলেও সতর্ক হওয়া উচিত।
বর্তমান ভারতে প্রতি একশো জনের মধ্যে চারজন PCOS বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে আক্রান্ত। গ্রামের চেয়ে শহরে PCOS আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। অর্থাৎ অপ্রিয় সত্য হল, মহিলারা জীবনযাপনের অর্থকরী মান যত বাড়াচ্ছেন, PCOS-ও কিন্তু তার সঙ্গেই বাড়ছে। এ বিষয়ে সচেতনতা যতটা হওয়া দরকার, এখনও ততটা তৈরি হয়নি।
PCOS-কে লাইফস্টাইল ডিসঅর্ডার বলাই যায়। এই সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের অনেকেরই ওভারওয়েট বা ওবিস হয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস বা এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার— এসবের আশঙ্কাও তাঁদের বেশি। ফলে লাইফস্টাইল এবং ডায়েটের দিকে নজর দেওয়া তাঁজের জন্য একান্তই প্রয়োজন। সঠিক খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা, ভাল ঘুম, নিজের আবেগকে খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং স্ট্রেসকে যতটা সম্ভব বাড়তে না দেওয়া— এগুলোই ভালো থাকার মূল মন্ত্র।
• এঁদের ডায়েটে হাই-ফাইবার ফুড থাকা দরকার। ফুলকপি, লাল এবং সবুজ বেলপেপার, ডাল, বিন, মিষ্টি আলু রাখুন খাদ্যতালিকায়। এর ফলে রক্তে সুগারের ইমপ্যাক্ট কম হয়।
• অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি খাবারদাবার, যেমন সবুজ শাকসবজি, তেলালো মাছ, বিভিন্ন ধরনের বেরি খাওয়া দরকার। এতে ইনফ্ল্যামেশন-জনিতে সমস্যা, যেমন ক্লান্তি কম থাকবে।
• এ ছাড়াও হেলদি ফ্যাট, যেমন অলিভ অয়েল আর নারকেল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, হলুদ আর দারচিনির মতো মশলা রাখুন খাদ্যতালিকায়।
• কিছু জিনিস একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন প্রসেস্ড ফুড, ডিপ-ফ্রায়েড খাবার, বাজারচলতি সফ্ট ড্রিংক, মার্জারিন এবং অতিরিক্ত রেড মিট।
ডায়েট এবং জীবনচর্যার খেয়াল রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডায়াগনসিস এবং চিকিৎসা। দেরি করে চিকিৎসা শুরু হলে পিসিওএস বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই ভয় পাবেন না, কিন্তু সচেতন থাকুন। তাহলে অসুখ থাকলেও তা আপনার বড় কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-07-07 09:15:40
Source link
Leave a Reply