হাইলাইটস
- চাপ কমাতে গিয়ে অনেকেই সিগারেট, অ্যালকোহলের মতো নানা বদ অভ্যাস তৈরি করে বসেন।
- কিন্তু সত্যি বলতে কী তাতে চাপ একেবারেই কমে না।
- উলটে নেশা করলে যৌন অনীহা শুরু হতে থাকে
সম্পর্কে যৌনতার প্রয়োজন যে কতটা তা কম বেশি সকলেই জানেন। যৌন সঙ্গম নিয়মিত না হলে আবার মানসিক চাপ বাড়ে। গোটা বিষয়টাই যেন একটা চক্রের মতো।
চাপের চাপ
কাজের চাপ বাড়লে মানসিক চাপ বাড়ে। আর তা থেকে বাড়ে শারীরিক চাপ। এবং দুইয়ে মিলে যৌন জীবনে খারাপ প্রভাব বিস্তার করে।
অতিরিক্ত স্ট্রেসের ফলে এনার্জি লেভেল ক্রমশ কমতে থাকে। সেক্ষেত্রে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে কথা বলতেই ইচ্ছে করে না, আর যৌনতা তো অনেক দূরের ব্যাপার। এক্ষেত্রে মহিলাদের উপর চাপ থাকে বেশি। স্বামী-স্ত্রী উভয়ের অফিসের কাজ সেরে নিলেও ঘরের কাজ মহিলাকে একাই সারতে হয়। পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্বো তাঁর ঘাড়ে। ফলে শারীরিকভাবে ক্লান্তির পাশাপাশি মানসিক ক্লান্তিও চেপে বসে। ফলে যৌনতায় অনীহা দেখা দিতে শুরু করে। আর যৌন জীবনে ঘাটতি মানে সম্পর্কেও প্রভাব পড়া।
চাপ কমাতে গিয়ে অনেকেই সিগারেট, অ্যালকোহলের মতো নানা বদ অভ্যাস তৈরি করে বসেন। কিন্তু সত্যি বলতে কী তাতে চাপ একেবারেই কমে না। উলটে নেশা করলে যৌন অনীহা শুরু হতে থাকে। শরীরের এনার্জি লেভেলও কমতে থাকে। শরীর দুর্বল হতে থাকে।
স্বামী বা স্ত্রী কারও স্ট্রেসের মাত্রা যদি অতিরিক্ত হয়ে পড়ে তখন তাঁর দৈনন্দিন ব্যবহারেও নানা পরিবর্তন আসতে থাকে। খিটখিটে মেজাজ, কথায় কথায় রেগে যাওয়া বা ঝগড়া করার প্রবণতা সহ একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তার উপর তিনি যদি চাপা স্বভাবের হন তাহলে তো আরও বিপদ। অপরজনের মনে নানা সন্দেহের উদ্রেগ হয়। ফলে শারীরিক এবং মানসিক দূরত্ব বাড়তে থাকে। ফলে প্রভাবিত হয় যৌন জীবনও।
স্ট্রেস থেকে অনেক সময় বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে। এবং এই সমস্যা হতে পারে স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে। আবার বন্ধ্যাত্বের সমস্যার কথা জানার পর অনেক দম্পতির মধ্যেই যৌন অনীহা বাড়তে থাকে।
স্ট্রেসের কারণে ওজন বেড়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। মোটা হতে শুরু করলে অনেকেই নিজেকে কুৎসিত ভাবতে শুরু করেন। ফলে আত্মবিশ্বাস হারাতে থাকেন। আবার সঙ্গীর ওজন বৃদ্ধি পেলেও তাঁর প্রতি আকর্ষণ কম হতে থাকে। এর ফলে দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। যার প্রভাব পড়ে যৌন জীবনে।
স্ট্রেস তাড়ানোর মন্ত্র
*আগে ঠান্ডা মাথায় বসে ভাবুন যে আপনার প্রয়োজন কতটা। অযথা ইঁদুড় দৌড়ে নাম লেখাতে গিয়ে নিজের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য যে জলাঞ্জলি দিচ্ছেন তার আদৌ কি প্রয়োজন আছে?
*কাজের চাপ থাকবেই। তবে সেই চাপের মধ্যেও সময় ভাগ করে নিন। অনেক রাত পর্যন্ত কাজ যদি প্রয়োজন হয় তাহলে যৌনতার জন্য দিনেরবেলাকে বেছে নিন।
*মনে রাখবেন নিয়মিত যৌনতা কিন্তু মানুষকে স্ট্রেসমুক্ত রাখে। সকালে ঘুম থেকে উঠে যৌনসঙ্গম করলে সারাটা দিন মন ভালো থাকে। আর রাতের টানা ঘুমের পর এনার্জি জড়ো হওয়ায় যৌনসুখও মেলে ভরপুর। ফলে সারাদিনে কাজের স্ফূর্তি বেড়ে যায়।
*সঙ্গী যদি স্ট্রেসে থাকেন তাহলে তাঁর সঙ্গে জোর করে যৌন সঙ্গম করা একেবারেই ভুল। বরং তাঁর সঙ্গে কথা বলে চিন্তার কারণ জিজ্ঞেস করে তা সমাধান করার চেষ্টা করুন বা তাঁর মনোবল বাড়ান।
*সঙ্গী ক্লান্ত থাকলে শোওয়ার ঘরটি সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রোম্যান্সের পরিবেশ তৈরি করুন। সঙ্গীর মন ধীরে ধীরে ভালো হযে যাবে।
*যৌনতার সময় একে অপরের পছন্দকে গুরুত্ব দিন। স্ট্রেস কমাতে ফোর প্লে খুব ভালো কাজ দেয়।
*স্ট্রেস কমাতে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় একে অপরের সঙ্গে সারাদিনের কাজ নিয়ে কথা বলুন। একসঙ্গে ভালো খাবার খান। সিনেমা দেখুন।
*যোগাভ্যাস এবং মেডিটেশন স্ট্রেস কমায়।
*সুন্দর পারফিউম বা হালকা আলোও স্ট্রেস কমিয়ে রোম্যান্টিক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য দুর্দান্ত উপায়।
*শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। কার্বহাইড্রেট, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, সবুজ শাকসবজি, ফাইবার যুক্ত ফল ও সবজি খান। নিয়মিত খেতে পারেন ডার্ক চকোলেট।
*কড়া ব্ল্যাক কফি, তেল মশলাদার খাবার, চিনি কম খান। সিগারেট, অ্যালকোহল এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্য থেকে দূরে থাকুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-05 18:31:07
Source link
Leave a Reply