হাইলাইটস
- প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু বিষয় অবশ্যই ব্যক্তিগত থাকে।
- নিজের প্রাইভেসি থাকে।
- আর এই বিষয়টি সকলের সম্মান করা উচিত।
কিন্তু খারাপ লাগত যখন ও স্পেশ্যাল কিছু বানালে শাশুড়ি মা সটান না বলে দিতেন। ছেলের পছন্দের কোনও খাবার একমাত্র তিনিই রান্না করবেন। ছেলের জন্মদিনে বিশেষ কোনও পদ রান্নার অধিকার একমাত্র তাঁরই আছে। এসব বিষয়ে পৃথাকে ঢুকতেও দিতেন না। এদিকে ছেলে বাড়ি ফিরলেই তিনি এসে বসে থাকতেন ছেলে-বৌমার ঘরে। প্রায়শই ছেলের ঘরে হানা দেওয়া তার অভ্যাস। সেদিন সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করেই পৃথা-সৌপ্তিকের ঝামেলা শুরু হয়েছিল। মাথা গরম থাকায় পৃথা একটু বেশিই চিৎকার করে ফেলেছিল। এরপর সৌপ্তিকের মা এসে ছেলেকে বোঝালেন, এরকম মেয়ের সঙ্গে সে সংসারই করতে পারবে না। পৃথা সৌপ্তিকের ভালো চায় না…এই সব কথায় অশান্তি আরও বেড়ে গেল। পরিস্থিতি চরমে পৌঁছল যখন তিনি পৃথার পরিবার তুলে খোঁটা দিলেন।
ছোট থেকেই যৌথ পরিবারে মানুষ পৃথা। দেখে এসেছে মা-কাকি-পিসিরা সব একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। যে কোনও অনুষ্ঠানে সবাই একজোট হয়ে হই হুল্লোড় করছে। কোনওদিন কারোর বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। সেদিন শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে ঝামেলার পর পৃথার খারাপই লাগছিল। এরপর ইন্সটিটিউটের এক সিনিয়রকে সে তার সমস্যার কথা খুলে বলল। সেই দিদির পরামর্শ মতো পৃথা চলতে শুরু করল। এভাবে অযথা অশান্তিতে সম্পর্ক শেষ হয়ে যাক সে কোনও মতেই চায় না।
আসলে অনেক মা থাকেন, যাঁরা ভাবেন বিয়ের পর বুঝি ছেলে পর হয়ে গেল। এবার থেকে বৌকেই বেশি প্রাধান্য দেবে। তাঁর সমস্যার কথা ঘুরেও দেখবে না। ছেলেকে নিজের কাছে বেঁধে রাখার মানসিকতা থেকেই তাঁরা এমন আচরণ করেন। আর এঁদের কাছে বৌমা কোনওদিন মেয়ে উঠতে পারে না। তাই এমন যদি হয় শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্ক সেক্ষেত্রে বৌমারা এই কয়েকটি পরামর্শ মেনে চলতে পারেন। যেমম-
সরাসরি কথা বলুন- এরকম সমস্যা হলে সরাসরি শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলুন। কোনও ভায়া মাধ্যমে নয়। তাঁর কোথায় সমস্যা হচ্ছে, কেন তিনি এমন কথা বলছেন তা অবশ্যই বোঝার চেষ্টা করুন। সেই মতন পদক্ষেপ নিন। যদি ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে তাহলেও সমস্যার সমাধান হবে সরাসরি কথা বললে।
একটা সীমারেখা টানুন- প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু বিষয় অবশ্যই ব্যক্তিগত থাকে। নিজের প্রাইভেসি থাকে। আর এই বিষয়টি সকলের সম্মান করা উচিত। সব বিষয় নিয়ে যেমন কথা বলা যায় না তেমনই সকলের সঙ্গে তা শেয়ারও করা যায় না। কিছু সময়, কিছু মুহূর্ত নিতান্তই নিজের। একথা শাশুড়িকে বুঝিয়ে দিন। সেই সঙ্গে তাঁকে বলুন আপনি ও আপনার স্বামী প্রাপ্তবয়স্ক। নিজেদের মধ্যেকার সমস্যা নিজেরাই মিটিয়ে নিতে পারবেন। সেখানে তাঁর নাক গলানোর কোনও প্রয়োজন নেই। আর এ ব্যাপারে আপনি কোনও আলোচনাও চান না।
নিজের মত জোরাল গলায় বলুন- আপনার যা বক্তব্য তা জোরাল গলায় বলুন। এবং সেই কথায় যেন অবশ্যই যুক্তি থাকে। অযথা ঝামেলায় যাবেন না। বরং আপনার সমস্যা, আপনি কী বলতে চাইছেন তা তাঁকে বুঝিয়ে বলুন। আর এর মধ্যে স্বামীকে টানবেন না।
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন- চেষ্টা করুন শাশুড়ির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে। এতে দুপক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। কারণ অযথা ঝগড়া, অশান্তি কেউই চান না। এর জন্য একে অপরকে বুঝতে হবে। অভিভাবক হিসেবে অবশ্যই তিনি পরামর্শ দেবেন। কিন্তু জোর করে ছেলে-বৌমার মধ্যে ঢুকে পড়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে নষ্ট হয় সম্পর্ক।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-03 22:36:43
Source link
Leave a Reply