ব্রণের সমস্যা হয়নি এমন মানুষ অনেক কম খুঁজে পাওয়া যাবে। নারী এবং পুরুষ উভয়েই ব্রণের সমস্যায় পরে থাকেন।এই দাগ খুবই অস্বস্তিকর। ব্রণের বিশ্রী দাগ মুখের সৌন্দর্যটাই নষ্ট করে দেয়। অনেক নামি দামী প্রোডাক্টও ব্রণের এই দাগ সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয় না। কিন্তু আপনি জানেন কি, আপনার হাতের কাছেই রয়েছে এর সমাধান? প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজে ব্রণের এই অস্বস্তিকর বিশ্রী দাগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন তবে আজকে দেখে নেয়া যাক ব্রণের বিশ্রী দাগ থেকে মুক্তির খুব সহজ প্রাকৃতিক উপায়গুলো।
লেবুর রস
লেবুর রসের অ্যাসিটিক এসিড ত্বকের ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়া লেবুর রস ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে ব্রণের উপদ্রব থেকে বাঁচায়। প্রতিদিন লেবুর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে তুলোর বল ভিজিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে রেহাই পাবেন।
আলু
কাঁচা আলু ত্বকের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী। আলু ধুয়ে মুছে নিয়ে পাতলা করে স্লাইস করে ত্বকে ভালো করে ঘষে নিন। এতে করে ত্বকের দাগ হালকা হয়ে আসবে। এবং ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে।
মধু
মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান, যা ভেতর থেকে এই সমস্যার সমাধান করে। মধু হাতের তালুতে নিয়ে মুখে প্রতিদিন ম্যাসেজ করলে এবং প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ মধু খেলে খুব দ্রুত ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া মধুর সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে ব্রণের দাগ ত্বক থেকে দূর করতে বিশেষ কার্যকর।
হলুদ ও পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতার রসের সাথে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিন। ত্বকের ওপর লাগান, বিশেষ করে ব্রণের দাগের ওপর। ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। খুব দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন।
অলিভ অয়েল
ব্রণের দাগ দূর করতে অলিভ অয়েল জাদুর মতো কাজ করে। প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে শুকিয়ে নিন। এরপর হাতে সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট। এপর ৩০ মিনিট পর আবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।
গোলাপজল ও চন্দনগুঁড়ো
১ টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়োয় সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এটি ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর হবে দ্রুত।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-03 11:04:43
Source link
Leave a Reply