জন্মগতভাবে কারো চুল কালো, কারো সোনালি, কারো বা বাদামি। কিন্তু চুলের ওই রং অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। অথবা একই রকম চুল দেখে ক্লান্ত অনেকেই। এ থেকে উত্তরণের উপায়- চুলের রং বদলে ফেলা।
চুলের রং বদলের জন্য ন্যাচারাল ব্ল্যাক, জেট ব্ল্যাক, ব্রাউন, ডার্ক ব্রাউন, রেডিশ ব্রাউন, গ্রে, বার্গেন্ডি, লাইট হানি ব্রাউন, মিডিয়াম অ্যাশ ব্রাউন, মিডিয়াম গোল্ডেন ব্রাউন, ডার্ক অবার্ন, চেস্টনাটের মতো বিভিন্ন রং পাওয়া যায় বাজারে। এসব থেকে বেছে নিতে হবে আপনার পছন্দের রঙটি। তবে হেয়ার কালার করানোর আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন। নইলে চুলের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
প্রথমেই চুলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন। রুক্ষ ও ভঙ্গুর হলে আপনার চুল রং করানোর উপযুক্ত নয়। রং করানোর জন্য উপযুক্ত ঝলমলে স্বাস্থ্যকর চুল। এই চুলে কালার দীর্ঘদিন থাকে এবং দেখতেও ভালো লাগে। রুক্ষ চুলে কালার ঠিক মতো হয়না তাই কালার করানোর পর দেখতেও ভালো লাগেনা। আপনার চুল যদি রুক্ষ হয় তবে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট অথবা হেয়ার স্পা করিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসুন।
কিছু হেয়ার কালার আছে যা স্থায়ী আবার কিছু আছে অস্থায়ী। অস্থায়ী কালার ধীরে ধীরে শেষ হয়ে চুল পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। স্থায়ী কালারের সময় ফিকে হলেও একেবারে শেষ হয়ে যায়না। তাই কালার করার আগে ভালো করে ভেবে নিন কোন ধরনের হেয়ার কালার করাবেন। ভাবুন এবং সিদ্ধান্ত নিন।
চাইলে বিউটিশিয়ানের সাথে পরামর্শও করতে পারেন। আপনি হয়তো মনে মনে একরকমের কালার করার কথা ভেবে রেখেছেন কিন্তু সেটা হয়তো আপনার চেহারার সাথে একেবারেই মানানসই নয়। বিউটিশিয়ান আপনাকে এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবে। কিংবা কোন ব্রান্ডের কালার সঠিক হবে চুলের ধরণ দেখে সেটাও সে বলতে পারবে। তাই পার্লারে যেহেতু যাবেনই বিউটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করলে ক্ষতি তো নেই।
চুলের জন্য সঠিক শেড বেছে নিন। হেয়ার কালারের ক্ষেত্রে একই রঙয়ের নানা শেড পাওয়া যায়। আপনার চুলের রঙ যদি ব্রাউন হয় আর আপনি যদি ব্রাউন রঙেরই শেড বেছে নিতে চান তবে ত্বকের সাথে মানানসই হয় এমন শেডই বেছে নিন। নইলে চুলে শেড করাতে গিয়ে উল্টো পরিশ্রমটাই মাটি হবে।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-02 17:42:14
Source link
Leave a Reply