স্পাইন এবং মাথা সোজা রাখুন। শ্বাস টেনে ডান বাহু ওপরে তুলুন। মাথার ওপরে হাতের তালু রাখুন। মাথার ওপরে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন। ক্লকওয়াইস গোল গোল করে ম্যাসাজ করতে হবে। এই এক্সারসাইজের সময় স্বাভাবিক ও স্বচ্ছন্দে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। টেনশন মুক্ত মনে করতে শুরু করবেন নিজেকে।
চোখের এক্সারসাইজের সাহায্যে নিজের স্বস্তি ফিরিয়ে নিন
এ ক্ষেত্রেও স্পাইন এবং মাথা সোজা রাখুন। চোখ বন্ধ করুন। ১০-১৫ মিনিটের জন্য তাড়াতাড়ি চোখ ব্লিঙ্ক করুন। ১০-১৫ মিনিটের জন্য ধীরে ধীরে চোখ ব্লিঙ্ক করুন। যতটা সম্ভব টাইট করে চোখ বন্ধ রাখুন। যতটা সম্ভব বড় করে চোখ খোলা রাখুন। কয়েক মিনিট পর্যন্ত এমন করতে থাকুন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যান। চোখ এবং তার আশপাশ থেকে নিজের সমস্ত চিন্তা ও ক্লান্তি মুক্ত হতে অনুভব করবেন।
জ রিলিজ
স্পাইন এবং মাথা সোজা রাখুন। তিনটি আঙুলের টিপকে থুতনিতে রাখুন। যে পেশীগুলি গিঁটের মতো থাকে, সেটি খুঁজে বার করুন। মুখটিকে আরামে রাখুন। দৃঢ় ভাবে চেপে সেই গিঁটযুক্ত পেশীকে সার্কুলার মোশানে ম্যাসাজ করুন। দৃঢ় ভাবে চেপে রাখার সময় জ লাইন থেকে থুতনির মধ্যে আঙুল চালনা করুন। কয়েক মিনিট এ ভাবে করে যান। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যান। মুখের কঠিন ও দৃঢ় ভাব ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করবে।
নেক রোলস
স্পাইন এবং মাথা সোজা রাখুন। শ্বাস ভিতরে নিয়ে থুতনি ওপরে তুলুন এবং মাথা পিছনের দিকে ঠেলুন। গলা ও গলার পেশীগুলিতে টান অনুভব করবেন। কয়েক সেকেন্ড এ ভাবেই থাকুন। শ্বাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের থুতনিটিকে বুকের কাছে নামিয়ে আনুন। ধীরে ধীরে ক্লক ওয়াইস ও অ্যান্টি ক্লক ওয়াইস নিজের মাথা ঘোরান। দেখবেন আপনার গলা ধীরে ধীরে ভারমুক্ত হচ্ছে।
কান থেকে কাঁধ স্ট্রেচ
স্পাইন এবং মাথা সোজা রাখুন। শ্বাস ভিতরে নিয়ে নিজের কাঁধটিকে কানের কাছে তুলুন। এভাবেই থাকুন কিছু ক্ষণ।
শ্বাস ছেড়ে কাঁধ নামিয়ে নিন। এ ভাবেই কয়েকবার করুন। ওপরের পিঠের পেশীগুলি সংকুচিত হবে। স্পাইন স্ট্রেচ হওয়ার ফলে আপনার এনার্জিও ধীরে ধীরে ফিরে আসবে।
শরীর ঝাকানো
সোজা ও লম্বা হয়ে বসুন। স্পাইন, ঘাড় ও মাথা একই লাইনে সোজা করে রাখুন। মাথাকে বুকের কাছে আনুন।
স্বস্তিতে থাকুন এবং নিজের কব্জি, ঘাড় ও মাথা লুস করুন। শরীরের কাঠিন্য ধীরে ধীরে কমবে।
বসে থেকে শরীর টুইস্ট করুন
স্পাইন এবং মাথা সোজা রাখুন। শ্বাস ভিতরে নিয়ে নিজের কাঁধটিকে কানের কাছে তুলুন। শ্বাস নিন এবং ডান দিকে নিজের শরীর টুইস্ট করুন। যতটা সম্ভব স্পাইন টুইস্ট করুন। ৫ সেকেন্ড এ ভাবেই থাকুন। শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থানে ফিরে আসুন। এ ভাবেই বাঁ দিকে শরীর টুইস্ট করে এই এক্সারসাইজটি করুন।
যোগাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংক্ষিপ্ত এবং সহজ এক্সারসাইজের জন্য ৫-১০ মিনিট সময় বার করতে পারলে শরীর ও মন ভালো থাকবে। এর পর কখনও জ্যামে আটকে গেলে বা এমন কোনও পরিস্থিতিতে পড়েন, যেখানে চিন্তা ও বিরক্তিতে মাথা ভারী হচ্ছে, সেখানে এই সহজ যোগাসনগুলি কর দেখতে পারেন। মস্তিষ্ক হাল্কা হবে, মেজাজ হবে ফুরফুরে।
অ্যান্টি স্ট্রেসের জন্য কোন ধরণের ডায়েট মেনে চলবেন?
খাবার-দাবারের মাধ্যমেও অবসাদ ও চিন্তা ঝেড়ে ফেলে দেওয়া যায়। তাই দিন শুরুর সময় নিজের ডায়েটের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখলে সুফল পেতে পারেন—
১. স্ট্রবেরি, কমলালেবু, পেয়ারা, আনারসের মতো ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। স্ট্রেস কম করতে এগুলি উপযোগী। এই ফলগুলিতে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদান ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
২. প্রচুর পরিমাণে ট্রিপ্টোফ্যান থাকায় বিনস ও মটরশুঁটি স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীরকে সাহায্য করবে। এই অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন উৎপাদন করে। সেরোটিনিন ব্যক্তিকে আনন্দিত ও ভালো থাকতে সাহায্য করে।
৩. কলাতেও প্রচুর পরিমাণে ট্রিপ্টোফ্যান থাকে। এমনকি এতে এমন এক ধরণের প্রোটিন থাকে যা সেরোটোনিনে পরিবর্তিত হয়ে যায়। এ ছাড়াও কলা ভিটামিন বি ও পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ। যা ব্যাকুলতার বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে পারে।
৪. ওটস ও ব্রাউন রাইসে লিন প্রোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অপরিহার্য ভিটামিনে সমৃদ্ধ। এ সব এক সঙ্গে মিলে চিন্তা দূর করতে পারে এবং শরীরে ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম।
৫. দুধও শরীরকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। ল্যাকটিয়াম নামক প্রোটিন কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের স্তর কম করে।
৬. আমন্ড মস্তিষ্কের সুপার ফুড। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ আমন্ড পেশীগুলিকে স্বস্তি দেয় এবং স্ট্রেস কম করে।
অতএব সকালে এই খাবারগুলিকে নিজের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করলে এবং অধিক চাপ অনুভব করলে সহজ ও ছোটখাটো এক্সারসাইজ করুন। এর ফলে মন ও শরীর দুই-ই চাঙ্গা রাখা যাবে।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-07-02 16:26:36
Source link
Leave a Reply