কথায় বলে শাসন করা তারই সাজে আদর করে যে। তবে অত্যধিক আদর যেমন একজন মানুষকে বিপথে নিয়ে যেতে পারে তেমনি অহেতুক শাসনও কিন্তু তৈরি করতে পারে মানসিক দূরত্ব। আর তাই কোনো প্রয়োজনে যদি কাউকে শাসন করতেই হয় তাহলে সেই শাসনের সহবতটাও জানা থাকতে হবে আপনার।
০ সন্তানকে শাসন করার জন্য তাকে কোনো একটি বিষয় বুঝিয়ে বলাটাই হওয়া উচিত মূল লক্ষ্য। তাই এটি করতে যেয়ে এমন কোনো শব্দ ব্যবহার করবেন না যেটি সন্তানের আত্মসম্মানবোধে আঘাত করতে পারে বা তাকে মানসিকভাবে পীড়া দেয়।
০ শাসন করার সময় অহেতুক বাড়তি কথা না বলে যে বিষয়টি আপনার কাছে অপরাধ বলে মনে হচ্ছে, সেটি তাকে বুঝিয়ে বলুন এবং তার মতামতটাও শুনুন।
০ কখনোই অন্যের সাথে তুলনা করে আপনার সন্তানের উপর মানসিক চাপ তৈরি করবেন না। বরং তাকে এটি বুঝিয়ে বলুন যে এভাবে কাজ করলে সে অন্য সবাইকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হবে।
০ রাগের মাথায় কখনো বাচ্চার গায়ে হাত তুলবেন না।
০ খারাপ কাজের জন্য যেমন সন্তানকে শাসন করেন তেমনি ভাল কাজের জন্য তার প্রশংসা করাটাও আপনাকে রপ্ত করতে হবে।
০ একবার কোনো কিছু নিষেধ করার পর শিশু পুনরায় সেটি করলে উত্তেজিত হবেন না। বরং তার স্বাভাবিক চঞ্চলতাগুলোকে মাথায় রেখে তাকে সময় নিয়ে আবারো বোঝানোর চেষ্টা করুন।
০ যেকোনো ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে মাঝে মাঝে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন এবং শাসনের ক্ষেত্রে সংযত আচরণ করুন।
০ সন্তানকে যেসব বিষয় মেনে চলার নির্দেশ দেন সেগুলো নিজেও মেনে চলুন।
০ শৈশবে কিছু চঞ্চলতা থাকাটাই স্বাভাবিক। কাজেই ছোটদের কাছ থেকে সবসময় দায়িত্বপূর্ণ আচরণ প্রত্যাশা না করে তাকে সবকিছু বুঝে উঠার এবং শিখার মতো সময় দিতে হবে।
০ সর্বোপরি আদেশ-নির্দেশের বাইরে প্রতিদিনই সন্তানের সাথে কিছুটা সময় কাটান যাতে আপনার সাথে তার মানসিক দূরত্ব কমে আসে এবং সে যেন আপনার কথাগুলো বন্ধুর মতোই মেনে নেয়।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জানুয়ারী ২৬, ২০১০
Leave a Reply