হাইলাইটস
- কেউ ভালোবাসেন সিদ্ধ, কেউ পোচ, কেউ বা আবার ওমলেট।
- আবার ডিমপ্রেমীরা অতকিছু ভাবেনই না। যে কোনও প্রকারে ডিম তাঁদের চাই-ই-চাই।
- স্বাস্থ্য সচেতনরা আবার ডিম ভাজার বদলে সেদ্ধতেই মন দেন বেশি।
খাদ্য রসিকরা আবার ডিম দিয়ে নানারকম নতুন নতুন রান্নাও সেরে ফেলেন। তবে ডিম সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় ব্রেকফাস্টে। ডিমের পোচ, ওমলেট, ডিম পাউরুটি তো ফেভারিট জলখাবার। পছন্দসই হলেও,চিকিৎসকরা বলছেন ওমলেট, পোচের তুলনায় সিদ্ধ ডিমই কিন্তু বেশি উপকারি। পুষ্টিগুণেও সিদ্ধ ডিম টেক্কা দেয় ওমলটকে।
ওমলেট ও সিদ্ধ ডিমের পুষ্টিগুণ
একটা গোটা সেদ্ধ ডিমে রয়েছে ৭৮ ক্যালরি, ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন, ০.৬ গ্রাম কার্বহাইড্রেট ও ৫.৩ গ্রাম ফ্যাট। যার মধ্যে ১.৬ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট। চিকিৎসকদের কথায় ডিমে প্রাকৃতিকভাবেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। ব্রেকফাস্টে একটা সিদ্ধ ডিম খেলে ৬ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়।
আর ওমলেটে রয়েছে ৯০ ক্যালরি, ৬.৮ গ্রাম ফ্যাট। স্যাচুরে়টেড ফ্যাটের পরিমাণ ২ গ্রাম।
ওমলেট ও সিদ্ধ ডিমের ভিটামিন
একটা গোটা সেদ্ধ ডিমের ১৫ শতাংশ রাইবোফ্লোভিন, ১০ শতাংশ ভিটামিন বি১২ ও ১১ শতাংশ ভিটামিন। ভাজ ডিমেও ভিটামিনের পরিমাণ প্রায় একই। রাইবোফ্লোভিন রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে, বি১২ স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা নিয়নন্ত্রণ করে, ভিটামিন ডি রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। অনেকের ভ্রান্ত ধারণা ডিম খেলে নাকি মেদ বৃদ্ধি হয়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন উলটো কথাই। সিদ্ধ ডিম খেলে নাকি হু হু করে মেদ ঝরে চেহারা হবে ছিপছিপে ।
ওমলেট ও সিদ্ধ ডিমের খনিজের পরিমাণ
এ বার কিন্তু সেদ্ধ ডিমকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছে ওমলেট। সেদ্ধ ডিমের থেকে ওমলেটে মিনারেলের পরিমাণ বেশি। সেদ্ধ ডিমে যেখানে ৯ শতাংশ ফসফরাস রয়েছে, ওমলেটে সেখানে ফসফরাসের পরিমাণ ১০ শতাংশ। হাড় শক্ত করতে ফসফরাস অত্যন্ত জরুরি। কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে সিদ্ধ ডিম। ডিমকে তেলে ভাজলে, এই উপকারিতা একেবারেই চলে যায়।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-28 16:22:03
Source link
Leave a Reply