আজকের যুগে চুলে কালার করা খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেবলমাত্র ফ্যাশনের জন্য নয়, পাকা চুল ঢাকতেও চুলে কালার করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের কিছু ছোট ছোট ভুলের জন্য চুলের কালার বেশিদিন স্থায়ী হয় না, তাই ঘনঘন চুলে কালার প্রয়োগ করতে হয়। আর সর্বদা পার্লারে গিয়ে চুলের যত্ন নেওয়াও সম্ভব হয়ে ওঠে না। আজকের এই আর্টিকেলে কিছু উপায় দেওয়া হল, যেগুলি প্রয়োগ করে চুলের কালার ধরে রাখা সম্ভব। তাহলে দেখে নিন, বাড়িতেই কীভাবে কালার করা চুলের যত্ন নেবেন – বাচ্চার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এখন থেকেই এই ৮টি ভাল অভ্যাস শেখান
১) কালার করা চুলের ক্ষতি হওয়া আটকাতে, সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কালার প্রোটেকট্যান্ট শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনার চুলের কালার অনেকদিন পর্যন্ত থাকবে, তাড়াতাড়ি ফ্যাকাশে হয়ে যাবে না।
২) চুল ধোওয়ার সময়, হালকা গরম জল দিয়ে শ্যাম্পু করুন। তারপর কন্ডিশনার ব্যবহারের পরে ঠান্ডা জলে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুলের রঙ ফ্যাকাশে হবে না।
৪) স্মুথ, নরম ও সিল্কি চুল পেতে, বাড়িতেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্পা করতে পারেন। এটি আপনার চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত লাভদায়ক।
৫) হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার, এই জাতীয় সরঞ্জামের নিয়মিত ব্যবহার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এগুলি চুলের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই সরঞ্জামগুলি থেকে নির্গত তাপ, চুলের আর্দ্রতা এবং রঙ নষ্ট করতে পারে। চুল রুক্ষ-শুষ্ক করে তোলে।
৬) আপনার চুল অনুসারে সঠিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার চয়ন করুন। আরও পড়ুন : চুলে কালার করুন এই প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে
৭) চুলে হালকা গরম তেলের মালিশ অত্যন্ত উপকারি। গরম তেল মালিশের ক্ষেত্রে, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল অথবা জোজোবা অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। আরও ভাল ফল পেতে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল তেলের সাথে মিশিয়ে, চুলে মালিশ করুন। এটি চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং চুলকে স্বাস্থ্যকর ও মসৃণ করে তুলতে বিশেষভাবে সহায়ক।
৮) চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য, চুলে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাক অথবা হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। একটি ডিম ও দুই টেবিল চামচ মেয়োনিজ ভাল করে মিশ্রিত করে চুলে লাগান। এই মিশ্রণটি ৪৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ঠান্ডা জলে ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন। এই হেয়ার প্যাকটি চুলকে নরম ও মসৃণ করে তুলতে সহায়তা করবে।
৯) চুলে ব্রাশ কিংবা চিরুনি ব্যবহারের সময়, খুব সাবধানে আলতো হাতে ভাল করে চুল আঁচড়ান। খেয়াল রাখবেন যাতে চুল না ছিঁড়ে যায়। চুলের ধরন অনুসারে সঠিক পণ্য ব্যবহার করুন। চুল বাঁধার জন্য ফেব্রিক ব্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন। ১০) চুলে কালার করার পর অন্ততপক্ষে তিন দিন চুল না ধোওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ এই সময় চুল ধুলে কালারও উঠে যাবে।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-06-27 19:26:14
Source link
Leave a Reply