হাইলাইটস
- ৪৩ বার Covid পজিটিভ ধরা পড়েছিল টানা দশ মাস ধরে কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল আর বাড়ি ছুটোছুটি করতে হয়েছে পশ্চিম ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের বাসিন্দা বছর বাহাত্তরের ডেভ স্মিথ।
- গত বছরের মার্চ মাসে কোভিড (Covid) আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
- তাঁকে সাত বার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
এত দীর্ঘ সময় ধরে করোনা আক্রান্ত (Covid) থাকার এটি প্রথম ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অবসরপ্রাপ্ত ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টার ডেভ স্মিথকে করোনা সংক্রমণের কারণে সাত বার হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে এমনই জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। কোনও কিছু তুলতে অনেক কষ্ট হত। এক রাতে লাগাতার ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত কাশি হয় আমার। আমি সমস্ত আশা ত্যাগ করে দিয়েছিলাম। আমি পরিবারের সমস্ত সদস্যদের ডেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলি ও বিদায় জানাই।’
উল্লেখ্য দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ থাকার কারণে স্মিথের ওজন ৬৩ কিলো কমে যায়। হতাশ স্মিথ, প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিজের স্ত্রীকে বলে যেতেন, ‘আজ রাতে আমার মৃত্যু হলে তুমি অবাক হয়ও না। ঘুমোতে যাওয়ার সময় আমি ভাবতাম, হয়তো ঘুমের মধ্যেই আমি চিরনিদ্রায় তলিয়ে যাব।’ স্মিথ আরও বলেন যে, ‘আমি নিজের স্ত্রী লিনকে বলি যে আমায় যেতে দাও। আমি নিজের মধ্যে আটকে গিয়েছি। পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপের দিকে এগোচ্ছে।’ তাঁর স্ত্রী লিন বলেন যে, ‘অনেক সময় আমাদের এমন মনে হয়েছে যে, স্মিথ আর বেশি দিন বাঁচতে পারবে না।’
উল্লেখ্য, অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের নতুন মিশ্রণের সাহায্যে স্মিথের চিকিৎসা করা হয়। প্রায় ২ সপ্তাহ তাঁর চিকিৎসা চলে। অবশেষে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু এই সংবাদ শুনে নিজের কানের ওপর বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। এর পর চিকিৎসকরা তাঁকে ১ সপ্তাহ অপেক্ষা করে পুনরায় টেস্ট করাতে বলেন। ১ সপ্তাহ পরও স্মিথের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
আনন্দে আত্মহারা স্মিথ শ্যম্পেনের বোতল খুলে নিজের সুস্থতার উৎসব পালন করেন। খুশিতে ডগমগ স্মিথ বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেক দিন ধরে একটি শ্যাম্পেনের বোতল ছিল। আমরা সাধারণত মদ্যপান করি না। তবে সেদিন ওই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সেই শ্যাম্পেন দিয়েই আনন্দে মেতে উঠি।’
চিকিৎসদের এ বিষয় জিগ্যেস করলে তাঁরা জানান যে, নতুন ওষুধের মিশ্রণ কাজ করেছে ঠিকই। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য স্মিথের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তিও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চিকিৎসকদের মতে, বলা যেতে পারে স্মিথের ওপর এই ওষুধের ট্রায়াল করা হয়েছিল এবং ওষুধটি কাজ করে যায়।
করোনার কারণে ২৯০ দিন পর সুস্থ হয়ে ওঠার এই ঘটনার বিষয় বিজ্ঞানীরাও গবেষণা চালাচ্ছেন। উল্লেখ্য, লিউকেমিয়া ও কেমোথেরাপির কারণে স্মিথের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এ কারণেই সুস্থ হতে এত দীর্ঘ সময় লেগে যায় স্মিথের।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা স্মিথের এই কেস স্টাডি করছেন। করোনা ভাইরাস শরীরের মধ্যে কোথায় আত্মগোপন করে থাকছে এবং কী ভাবে এরা শরীরের ভিতরে থেকে মিউটেশন চালিয়ে যাচ্ছে, তা জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত করোনার আক্রান্ত থাকার রেকর্ড গড়েছেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘এটি আমার দ্বিতীয় জন্ম। এবার আমি ভাবছি যে এই নতুন জীবনের আমি কী করব। শীঘ্র ৭৩-এ পা দেব। তবে আমি জানি আমার মধ্যে এখনও ভালো কিছু করার ক্ষমতা রয়েছে।’
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-06-27 09:09:03
Source link
Leave a Reply