পরিচ্ছন্ন একটি মুখ আমরা সবাই চাই। কিন্তু চাওয়া আর পাওয়া সব সময় এক হয় না। মাঝে মাঝে এর ব্যত্তয় ঘটে। যা আমাদের পক্ষে মেনে নেয়া কষ্টের ব্যপার বটে। সাধারণত টিনেজরাই ব্রণের সমস্যায় বেশি ভোগে।
গবেষণায় দেখা গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্রণ বংশগত। একে অনেকেই pimple, zit বা spot বলে থাকে। বাজারে ব্রণ দূর করার জন্য নানারকম ঔষধ পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করার আগে আসুন কিছু ঘরোয়া অনুসরন করি।
১. কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগান। কিছুক্ষন পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।
২. আপেল এবং মধুর মিশ্রণ ব্রণের দাগ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করে তাতে ৪-৬ ফোঁটা মধু মিশাতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
এটি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখে এবং কমপ্লেকশন হালকা করে। সপ্তাহে ৫-৬ বার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি কয়েকদিনের মধ্যে পরিবর্তনটা অনুভব করতে পারবেন।
৩. ব্রণের জন্য তুলসি পাতাররস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূরবেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণআক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরমপানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪. প্রথমে চন্দন কাঠের গুড়োঁরসাথে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এরপর এতে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। গোলাপজল অনেকের ত্বকের সাথে এডজাষ্ট হয় না। তারা সেইক্ষেত্রে গোলাপ জলের পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন।এই পেষ্ট আপনার ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।সপ্তাহে ৩-৪দিন ব্যবহার করতে পারলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
৫. এছাড়া রাতে শোয়ার আগেডিমের সাদা অংশ ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় মেসেজ করে সারারাত রাখতে পারেন। এটি আপনারত্বকের খসখসে ভাব দূর করে।সবচেয়ে ভাল হয় যদি এর সাথে লেবুর রস যোগ করা যায়।আপনিএটি সারারাতও রাখতে পারেন আবার আধ ঘন্টা পরও ধুয়ে ফেলতে পারেন।
৬. প্রতিদিন রাতের খাবারের পর যেকোন ধরনের মৌসুমি ফল খান। এটি আপনার ত্বককে সতেজ রাখবে।যতটা সম্ভব তেলযুক্ত বা ফাষ্ট ফুড জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
৭. সবসময় বাহির থেকে আসামাত্র মুখ ফেসওয়াস দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া হালকা গরম পানির স্টীম নিতে পারেন।এতেকরে ত্বকে জমে থাকা ধুলোবালি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৮. প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস পানি খান।
যারা বহুদিন যাবত ব্রণসমস্যায় ভুগছেন,কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না, তারা আর দেরি না করে কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-06-25 19:00:26
Source link
Leave a Reply