হাইলাইটস
- সময় না দেওয়াটাই কিন্তু সম্পর্ককে বিষাক্ত করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
- একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে মনের কথা খুলে বলা যায় না।
- ফলে ভুল বোঝাবুঝি হয় ভয়ানক
এমন ঘনঘোর বরিষায়।”
বর্ষা মানে নতুন পরিবেশ। বর্ষা মানে নতুন সম্পর্ক। বর্ষা মানে প্রেম, আরও প্রেম। রবি ঠাকুরের গানে কবিতায় মুখরিত বরষা শুধুই প্রেমময়।
করোনা বাইরের পরিবেশকে যতই বিষাক্ত করে তুলুক না কেন মনকে তো আর বিষিয়ে দিতে পারবে না। তাই বৃষ্টি নামলেই প্রেম মন বিভোর হয়ে যায়। প্রেম তো সারা বছরই থাকে। কিন্তু বসন্ত বা বর্ষাকালে এই প্রেম আরও যেন উজ্জীবিত হয়। প্রিয় মানুষের ডাকে মন এবং শরীর দুইই সদা প্রস্তুত থাকে। কিন্তু এই প্রিয় মানুষই যদি কোনও কারণে অপ্রিয় হয়ে ওঠেন তাহলে কিন্তু কষ্টের সীমা থাকে না।
আসলে বর্ষা নিয়ে যতই কবিত্ব আর রোম্যান্স হোক না কেন বাস্তব জীবনের সমস্যা এসবে এড়ানো যায় না।
দৈনন্দিন ছোটোখাটো ব্যাপার হোক কিংবা অন্য কোনও ঝামেলা দুই জন প্রিয় মানুষের মধ্যে তা দূরত্ব সৃষ্টি করেই থাকে। কিন্তু তা তো কাম্য নয়। প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঝগড়া করা মানে নিজেকে কষ্ট দেওয়া। তাহলে ঝগড়াঝাঁটি না করে একটু মিলেমিশে থাকুন না। একজন রেগে গেলে আরেকজন মানিয়ে নিন। এটা চলুক অল্টারনেটিভ সিস্টেমে। কিংবা দুজনেই একে অপরের সঙ্গে প্যাচ আপ করে নিন। দেখবেন সম্পর্ক সুন্দর থাকছে। মনে শান্তি বিরাজ করছে।
চেষ্টা করুন কয়েকটি টিপস্ মেনে চলার। দেখবেন ভালো থাকবেন।
সময় দিন
যে কোনও সম্পর্কেই সময়ের বড় প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে সময় দিতে পারেন না। হয় অফিসের কাজ আর না হলে ঘরের কাজ। দুজনে একসঙ্গে বসে দু দণ্ড কফি খাওয়ার সময়ও নেই। একসঙ্গে শপিং, রেস্তোরাঁয় ডিনার তো দূরস্ত। সন্তান সংসারের চাপে সামান্য ভালোলাগার কথাটুকুও বলা হয়ে ওঠে না। আর এই সময় না দেওয়াটাই কিন্তু সম্পর্ককে বিষাক্ত করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে মনের কথা খুলে বলা যায় না। ফলে ভুল বোঝাবুঝি হয় ভয়ানক। দুজনের দায়িত্ব পালন করতে করতে এমনিতেই একঘেয়ে জীবন কাটাতে হয়, তার উপর যদি কোনও তৃতীয় ব্যক্তি সম্পর্ক বিষিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করে তাহলে তো আরও মারাত্মক। তাই একে অপরকে সময় দিন। কথা বলুন। গল্প করুন। আড্ডা দিন। সন্তানদের কিছুক্ষণের জন্য নিজেদের থেকে আলাদা রাখুন। এদের খেলতে পা পড়াশোনায় ব্যস্ত করে দিন। সময় বুঝে ভিডিও কল করুন। মোট কথা যেভাবেই হোক একে অপরের সঙ্গে সময় কাটান।
ঝগড়া কম
সম্পর্কে ঝগড়াঝাটি হবেই। কিন্তু সেই ঝগড়া বেশিক্ষণ টিকিয়ে রাখবেন না। একজন রাগ করলে আরেকজন মানিয়ে নিন। দুজনেই দুজনের মন বুঝে চলার চেষ্টা করুন। নিজেদের কোনও বদ অভ্যাস থাকলে সেগুলি ছেড়ে দিন। একই কথা নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান করবেন না। চেঁচিয়ে কথা বললে ঝগড়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ে। তাছাড়া অতিরিক্ত ঝগড়া করলে তার খারাপ প্রভাব সন্তানদের উপরও পড়ে সেকথাও মনে রাখুন। ঝগড়ার পর সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ছোটোখাটো উপহার দিন দেখবেন দুজনের মধ্যে রোম্যান্স বেড়ে যাবে।
পুরোনো খারাপ স্মৃতি ভুলে যান
পুরোনো অনেক ঘটনা হয়তো সম্পর্ককে খারাপ করে দিয়েছিল। ঝগড়া বাঁধিয়েছিল। সেসব কথা ভুলে যান। সেগুলি নিয়ে অযথা আলোচনা না করাই ভালো। তবে হ্যাঁ, পুরোনো ভুল থেকে শিক্ষা নিন। চেষ্টা করুন একই ভুল বার বার না করার। আর কোনও কারণে পুরোনো কথা তুলে ছোটোখাটো বিবাদ যদি হয়েও থাকে সেটিকে বাড়ানোর দরকার নেই। কিংবা পুরোনো কোনও ঘটনা নিয়ে একে অপরকে হাসির ছলে অতিরিক্ত উত্যক্ত করাও বোকামি। এর ফলে সম্পর্ক ভয়ানক খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি নিজেদের ব্যক্তিগত পুরোনো ঘটনা সকলের সামনে মজার ছলেও বলবেন না। এতে সঙ্গী বা সঙ্গিনী অস্বস্তি বোধ করতে পারেন।
প্রয়োজন বুঝুন
একে অপরের প্রয়োজনগুলি বুঝুন। নিজের দরকারী জিনিস জোগাড় হয়ে গেলে সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীর দিকে নজর দিলেন না এমনটা যেন না হয়। দুজনের প্রয়োজন দুরকম হতে পারে। তাই কেনাকাটা হোক বা অন্যকিছু। নিজের মতো সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রয়োজনকেও গুরুত্ব দিন। দুজন দুজনের দরকার বুঝলে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-23 18:35:45
Source link
Leave a Reply