হাইলাইটস
- প্রতি ১০ জন বাঙালির মধ্যে ৮ জনই ব্লাড প্রেশার এবং সুগারের রোগী।
- ব্লাড সুগারকে সবাই বেশ সিরিয়াস ভাবে নেন। সময় মতো ওষুধ খাওয়া, খাবারে নিয়ন্ত্রণ, যোগাসন সবই চলে নিয়ম মতো।
- কিন্তু ব্লাড প্রেশারের ক্ষেত্রেই সবাই কেমন যেন গা ছাড়া ভাব দেখিয়ে দেন।
হার্টের আর্টারির দেওয়ালে যখন রক্তের চাপ অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখনই হাই ব্লাড প্রেশার দেখা দেয়। এবং যাঁদের এই অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকে তাঁদের কার্ডিয়াক বা হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলভাবে বেড়ে যায়। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ কিডনি, চোখ, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর উপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি গর্ভাবস্থায় মা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে তাঁর প্রভাব পড়তে পারে গর্ভস্থ্য শিশুর উপর।
বাড়ির প্রিয়জন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। অথচ কারও কথা শুনছেন না? তাহলে আপনি তাঁর রোগ সারাতে এগিয়ে আসুন। তাঁর পানিয়ের অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। দেখবেন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে।
ডাবের জল- কেন্দ্রীয় সরকারের হিসাব অনুযায়ী আমাদের দেশের শহরাঞ্চলের ৪০ শতাংশ মানুষ হাইপার টেনশনে ভোগেন। তার উপর শহরের দ্রুত জীবন, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা, কম ঘুম, কম বিশ্রাম, উদ্যম জীবনযাত্রা, ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতা কাজের চাপের ফলে নিজের অভ্যন্তরীণ যত্ন নেওয়ারও সময় নেই। ফলে হাই ব্লাড প্রেশারের সম্ভাবনাও বাড়ে। গরমে কষ্ট বাড়ে আরও বেশি। এক্ষেত্রে নিয়মিত ওষুধ তো খাবেনই সঙ্গে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডাবের জল খান। সমীক্ষা বলছে যাঁরা নিয়মিত ডাবের জল খান তাঁদের সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার ৭১ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। পটাশিয়াম যুক্ত এই পানীয় শরীরকে ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে।
বেদানার রস- বেদানা অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ভালো কোলেস্টরল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত বেদানার রস খেলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক চাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে বেদানায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর নিয়মিত সেবনে উচ্চরক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
জবা ফুলের চা- আজকাল হার্বাল চা খাওয়ার বেশ চল হয়েছে। এরকমই একটি হার্বাল চা হল জবা ফুলের চা বা হিবিসকাস টি। এটি গরম বা ঠান্ডা দুই রকমভাবেই পান করা যায়। রক্তচাপ কমাতে এটি দারুণ কার্যকর। যাঁদের শরীরের কোলেস্টেরল বেশি থাকে সাধারণত তাঁদেরই হাই ব্লাড প্রেশার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জবা ফুলে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এর সাহায্যে শরীরের কোলেস্টরল কমে। ফলে ব্লাড প্রেশারও কম হয়। কিডনি, মূত্রাশয়, মূত্রনালীতে সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করতে ওস্তাদ এই জবা ফুলের চা। এতে থাকা ভরপুর ভিটামিন সি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সাহায্য করে ওজন কমাতেও।
জবা ফুলের চা তৈরি করা বেশ সহজ। জবার তাজা পাপড়ি ভালো করে ধুযে নিন। জল ফুটিয়ে তাতে পাপড়িগুলি দিয়ে দিন। আঁচ বন্ধ করে পাত্রটি ঢাকা দিয়ে দিন। মিনিট কয়েক পরে ঢাকনা সরিয়ে নিলে দেখবেন জবার পাপড়ির লাল রং ফিকে হয়ে গেছে। এবং জলটি লাল হয়ে গেছে। কাপে সেই জল ছেঁকে নিন। স্বাদ আনতে সামান্য পাতিলেবুর রস দিতে পারেন। গরম চায়ের বদলে আইস টি হিসেবেও পান করতে পারেন জবার চা। জবার পাপড়ির লিকার ঠান্ডা করে নিন। গ্লাসে বরফ দিয়ে তাতে ঠান্ডা লিকারটি দিয়ে দিন। ইচ্ছে হলে লেবুর রস আর পুদিনা পাতা মিশিয়ে দিন। ব্যস তৈরি হযে গেল হেলদি হিবিসকাস আইস টি।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-06-23 16:13:45
Source link
Leave a Reply