জলপথে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হচ্ছে সাগর দ্বীপে। সার বছর ধরেই ২৪ ঘণ্টা মুড়িগঙ্গার লট-৮ এবং কচুবেড়িয়া ফেরিঘাটে যাবতীয় প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত-সহ লঞ্চ-অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু থাকবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের এই নতুন পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে আগামী ১ জানুয়ারি।
সোমবার এই খবর দিয়ে জেলার মুখ্য বাস্তুকার কনকেন্দু সিংহ জানিয়েছেন, সাগর দ্বীপে জলপথে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য অাপাতত উন্নতমানের দুটি লঞ্চ ব্যবহার করা হবে। চট করে যাতে ডুবে না- যায়, সেই ভাবেই তৈরি করা হচ্ছে লঞ্চ-অ্যাম্বুলান্স। মুড়িগঙ্গার ঘাটে নোঙর করা লঞ্চ-অ্যাম্বুল্যান্নসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকছে। এই ধরনের পরিষেবা জেলায় প্রথম। এর ফলে উপকৃত হবেন সাগর এবং ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি চৌধুরী মোহন জাটুয়া জানান, জলপথের অ্যাম্বুল্যান্সে অক্সিজেন-সহ সমস্ত রকম প্রাথমিক চিকিৎসার বেন্দাবস্ত থাকবে। তবে রোগীদের যাতায়াতের জন্য লঞ্চ-অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া আদায়ের ব্যপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা হয়নি ভাড়ার হার কি হবে তা নিয়েও। জেলা পরিষদ বিনা ভাড়ায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা গরিব মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেটা যদি সম্ভব না-ও হয়, তবে না লাভ না ক্ষতির নীতিতে এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চলবে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা শেখ জানিয়েছেন, লঞ্চ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হলেও সাগর এবং ঘোড়ামারা দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীকে কচুবেড়িয়া ঘাটে আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। এই বিষয়টি তৃণমূল নেত্রী মমতা বেন্দ্যাপাধ্যায়ের নজরে আনা হলে তিনি দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়ার কথা বলেছেন। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ওই দুটি অ্যাম্বুল্যান্সও এসে যাবে বলে জানিয়েছেন জেলা সভাধিপতি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৩ ডিসেম্বর ২০০৮
Leave a Reply