হাইলাইটস
- বর্ষাকালে বৃষ্টি ভেজা ত্বকে যেমন র্যাশ, চুলকানির সমস্যা হয়, তেমনই এই সময় পেট খারাপ, ডায়েরিয়া থেকেও ছাপ পড়ে ত্বকে।
- একজিমা, ইনফেকশন, অ্যালার্জি বর্ষার খুবই সাধারণ সমস্যা। সব চুলকানিই প্রথম প্রথম মজা লাগে।
- আর সেটাই যখন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায় তখন তা হয়ে যায় সাজা।
- আগে দূরদর্শনে জিঙ্গল সহযোগে একটি বিজ্ঞাপন আসত।
সেই বিখ্যাত মলম কৌটোতে পাওয়া যায় নাকি টিউবে তার খোঁজ আজকের প্রজন্মের কজন রাখেন তা জানি না। তবে হ্যাঁ একথা হলফ করে বলতে পারি যে চুলকানি কিন্তু আজকের প্রজন্মের কাছেও বহাল তবিয়তে আছে। আর স্বাস্থ্য বিভাগে বরং শরীরের চুলকানি নিয়ে কথা বলা যাক। অনুমতি পেলে চুলকানির স্বভাব নিয়ে না হয় আরেকদিন কথা বলা যাবে।
বাইরে বৃষ্টি। আবহাওয়া স্যাঁতস্যাঁতে। জামাকাপড় কাচার পরও কেমন যেন ভ্যাপসা গন্ধ থেকে যায়। ঘরের মধ্যেও একটা হালকা ভ্যাপসা গন্ধ। আর এরকম পরিবেশে গা হাত পা চুলকানির একটা প্রবণতা দেখা যায়। আবার অনেক সময় বৃষ্টির ফলে ঠান্ডা আবহওয়ায় ত্বক শুকিয়ে গিয়েও চুলকানি সৃষ্টি হয়। বর্ষায় মশা, পোকামাকড় বাড়ে তার কামড়ে চুলকানি হওয়াও সাধারণ ব্যাপার। অ্যালার্জির সমস্যা তো অনেকেই আছে। ত্বকের নির্দিষ্ট জায়গায় ক্রমাগত চুলকাতে চুলকাতে প্রায় সময়ই ত্বক ছিলে গিয়ে রক্ত বেড়িয়ে যায়। অনেকের আবার সেই জায়গায় কালো দাগও পড়ে যায়। ছোটো বা বয়স্কদের তো আরও কষ্ট। তাই যে কোনও কারণেই চুলকানি হোক না কেন নখ দিয়ে না চুলকে তার বদলে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। আরাম পাবেন। সঙ্গে ত্বকও নষ্ট হবে না। আর এটি সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় আয়ুর্বেদিক সমধান।
মধুর এমন মধুর হাসি
প্রাচীন আয়ুর্বেদ বিজ্ঞান অনুযায়ী মধু জীবাণুনাশক। ত্বকের নানা সমস্যায় মধুর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক এবং চুলকে মোলায়েম রাখতে মধুর তুলনা মেলা ভার। নিয়মিত মধু খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ত্বক ভালো থাকে। আর শরীরের যে স্থান চুলকানি হচ্ছে সেখানে মলমের মতো করে মধু মাখিয়ে দিলে ওই স্থান প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্র হযে যায় এবং ধীরে ধীরে চুলকানি কমতে থাকে।
আপেল সিডার ভিনিগার
ত্বক সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় মহৌষধির মতো কাজ দেয় আপেল ভিনিগার। ন্যাশনাল এগজিমা অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট অনুযায়ী এগজিমা সারাতে অ্যাপেল ভিনিগার বেশ কার্যকরী। যদিও এর ব্যবহারে বেশ কয়েকটি সতর্কতা মেনে চলতে হয়। কারণ অতিরিক্ত অ্যাপেল ভিনিগারের ব্যবহার শরীরের অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ত্বকের পক্ষে সেই অতিরিক্ত অ্যাসিড যথেষ্ট ক্ষতিকর।
অ্যালোভেরা জেল
চুলকানি বা এগজিমায় আরাম দিতে সেরা অ্যালোভেরা জেল। শুধু চুলকানিই নয় ত্বকের যে কোনও সমস্যার সমাধানেই অ্যালোভেরা জেল সিদ্ধহস্ত। কাটা, ছড়া, শুকনো ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন। খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে। চুলকানির সমস্যায় ভুগলেও ত্বকে নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল মাখুন। প্রথম বার ব্যবহারের পরই আরাম বুঝতে পারবেন। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল মাখলে ত্বক মোলায়েম হয়। আলাদা করে যত্নের প্রয়োজন হয় না। সরাসরি গাছের পাতা থেকে জেল বের করে মাখতে পারেন আবার দোকানে ক্রিম হিসেবে বিক্রি হওয়া জেলও ব্যবহার করতে পারেন। একই ফল দেয়।
নারকেল তেল
ত্বককে মোলায়েম এবং কোমল রাখতে নারকেল তেল দারুণ কাজ দেয়। ত্বকে নিয়মিত নারকেল তেল মাখলে ত্বক ফাটা বা শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দূর হয়। ফলে চুলকানি বা এগজিমার সমস্যাও কমতে থাকে। তবে অনেকেরই আবার নারকেল তেল থেকে অ্যালার্জির প্রবণতা থাকে। তারা কিন্তু ভুলেও এটি ব্যবহার করবেন না। হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-06-23 14:28:57
Source link
Leave a Reply