শুক্তো
প্রতিদিন এক বাটি শুক্তো আপনার শরীরের যাবতীয় রোগ দূর করতে সক্ষম। করলা, আলু, বেগুন, সজনে ডাঁটা, কাঁচকলা, পেঁপে এবং বড়ি দিয়ে শপক্ত বানাতে হয়। প্রত্যেকটা সবজি এবং বড়ি আলাদা আলাদা করে ভেজে নিন। কড়ািয়ে অল্প তেল গরম করে তাতে পাঁচফোঁড়ন, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিন। এতে সবজিগুলি দিয়ে সামান্য হলুদ এবং নুন দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। স্পেশাল টাচ দিতে চাইলে তাতে নারকেলের দুধ এবং সামান্য সর্ষে-পোস্ত বাটা দিতে পারেন। গরম ভাতে অসাধারণ লাগে।
টক ডাল
গরমে স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো এই টক ডাল। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাতে প্রতিদিন টক ডাল খান। অনেকে সাধারণ ডালের মতোই টক ডাল ভাত দিয়ে মেখে খান। আবার অনেকে শেষ পাতে টক ডাল খান। সেটা যাঁর যাঁর পছন্দ। টক ডাল সাধারণত কাঁচা আম দিয়ে তৈরি করতে হয়। মুসুরডাল ভালো করে ধুযে প্রেশার কুকারের নুন হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ হওয়ার পর ডাল ভালো করে ঘেঁটে নেবেন। কাঁচা আমের খোসা ছাড়িয়ে লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে গোটা সর্ষে, শুকনো এবং কাঁচালঙ্কা ফোঁড়ন দিন। তাতে আমগুলি দিয়ে দিন অল্প করে নেড়ে চেড়ে সিদ্ধ ডাল দিয়ে দিন। প্রয়োজন মতো হলুন, নুন এবং চিনি মিশিয়ে নিন। যাঁরা চাটনি পছন্দ করেন না তাঁরা নিয়মিত এই ডাল খান।
তেতোর ডাল
গরমে তেতোর ডাল যেন অমৃত। প্রেশার কুকারে মুগ ডাল নুন হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ ডাল ভালো করে ঘেঁটে নিন। উচ্ছে গোল গোল পাতলা করে কেটে নিন। কড়াইযে তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোঁড়ন, তেজপাতা এবং শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিন। তাতে উচ্ছেগুলো ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তাতে সিদ্ধ ডাল ঢেলে দিন। প্রয়োজন মতো কাঁচালঙ্কা এবং নুন হলুন দেবেন।
লাউয়ের ডালনা
লাউয়ের ডালনা রান্না করা যেমন সহজ তেমনই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। খোসা ছাড়িয়ে ডুমো করে লাউ কেটে নিন। একই রকমভাবে কেটে নিন আলু। বড়ি ভেজে আলাদা করে তুলে রাখুন। এবার নুন হলুদ দিয়ে আলুগুলি ভালো করে বেজে নিয়ে আলাদা করে রাখুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে পাঁচফোঁড়ন, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিন। এতে ডুমো করে কাটা লাউ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। ধীরে ধীরে লাউ থেকে জল বেরোতে থাকবে এবং তা নরম হয়ে যাবে। এবার এতে ভেজে রাখা আলু দিয়ে অল্প নুন, হলুজ, জিরে, ধনে এবং শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। অল্প জল মিশিয়ে নিন। এতে ভাজা বড়িগুলি দিয়ে কড়াই ঢাকা দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ ফোটার পর তাতে সামান্য গরম মশলা গুঁড়ো এবং ঘি দিয়ে দিন। অনেকে লাউয়ের ডালনায় সামান্য দুধ দিয়ে থাকেন। খেতে মন্দ লাগে না।
ঘোল
লস্যি আর ঘোল কিন্তু একদমই আলাদা। লস্যি খানিকটা ঘন হয়। আর লস্যি অনেকটাই পাতলা হয়ে থাকে। একটি পাত্রে টক দই নিয়ে তাতে জল মেশান ঘুঁটনি দিয়ে ভালো করে ঘুলে নিন। মিক্সিতেও ঘুলে নিতে পারেন। এতে স্বাদমতো চিনি, নুন মেশান। আর মেশান অল্প গন্ধরাজ লেবুর রস। পানীয়টি বেশ পাতলা হবে। প্রতিদিন নিয়ম করে ঘোল খেলে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় থাকে।
গন্ধরাজ লেবুর শরবত
ঠান্ডা জলে গন্ধরাজ লেবুর রস মেশান। তাতে চিনি এবং সামান্য নুন দিয়ে মিশিয়ে নিন। চাইলে সামান্য পুদিনা পাতাও দিতে পারেন এতে। অতিথি আপ্যায়ন করুন এই খাঁটি বাঙালি পানীয় দিয়ে। সকলে খুশি হয়ে যাবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-22 18:11:58
Source link
Leave a Reply