হাইলাইটস
- ইয়েল ইউনিভার্টিসির গবেষকরা এই কাজটি করেছেন।
- সেখানে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে মাঠে নামে রাইনোভাইরাস (Rhinovirus)।
- কোভিডের (Covid) সংক্রমণ আটকে দিতে পারে এই ভাইরাস।
কিন্তু এই রাইনোভাইরাস (Rhinovirus Infections) কী?
গ্রিক ভাষায় রিস (rhis) মানে নাক, রাইনোস (rhinos) মানে নাক। খাড়ালো নাক-সিংয়ের কারণেই গণ্ডারকে রাইনো বলা হয়। আর নাকে এই ভাইরাস থাকে বলে রাইনোভাইরাস (rhinovirus) নাম। রাইনোভাইরাস সাধারণ সর্দি, ঠান্ডা লাগার কারণ। এর সংক্রমণ ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে হয়। এই ধরনের তাপমাত্রা থাকে নাকের ভিতরে।
গবেষণায় কী দেখা দেখা গিয়েছে?
সর্দির ভাইরাসে আক্রান্ত শ্বাসনালীর টিস্যুগুলিতে করোনাভাইরাস (Corona) আক্রমণ করলে ওই সব কোষের ইন্টারফেরন আটকে দেয় সার্স কোভ-টু-র (sars-cov-2) ছড়িয়ে পড়া । ইন্টারফেরনে এক ধরনের প্রোটিন অণু, যে কোনও কোষ ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ায় সংক্রমিত হলে ওই কোষ থেকে ইন্টারফেরন বেরিয়ে আসে।
কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের (CoronaVirus) সংক্রমণের নির্দিষ্ট সময় পর কোষ থেকে বিপুল পরিমাণে ইন্টারফেরন (সাইটোকাইন) বেরিয়ে আসতে থাকে, এতে হিতে বিপরীত হয়। দেহের কোষগুলির উপরেই তখন ইমিউন সিস্টেমের হামলা শুরু হয়।
সাধারণ সর্দি জ্বরের ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ করে, এমন আগে থেকেই জানা ছিল। দেখা যায়, যে সময় বেশি সর্দি হচ্ছে বা ঠান্ডা লাগছে, সেই সময়টায় ইনফ্লুয়েনঞ্জা কম হচ্ছে। এর ফলে কোভিডের বিরুদ্ধে সর্দির ভাইরাসটি কাজ করে কি না, খতিয়ে দেখতে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
ইয়েল স্কুল অফ মেডিসিনের ল্যাবরেটরি মেডিসিন এবং ইমিউনোলজির অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোফেসর ইলেন ফক্সম্যানের নেতৃত্বে গবেষণা শুরু হয়। তাঁরা ল্যাবরেটরিতে তৈরি শ্বাসনালীর টিস্যুতে কোভিড-নাইন্টিনের (Covid-19) ভাইরাস সংক্রমিত করে দেখলেন, টিস্যুতে ভাইরাল লোড দ্বিগুণ হতে দেখা যাচ্ছে প্রতি ৬ ঘণ্টায়। এবার কিছু টিস্যুতে রাইনোভাইরাসের সংক্রমণ ঘটিয়ে তার পর কোভিড-নাইন্টিন (Covid-19) ছেড়ে পরীক্ষা করে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সেই সব টিস্যুতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এর থেকে বোঝা গেল, রাইনোভাইরাস (Rhinovirus) সংক্রমিত কোষগুলির ইন্টারফেরন প্রথম পর্যায়েই লাগাম দিতে পারছে করোনায়। আসলে, সংক্রমণ শুরুর প্রথম ধাপে একটি নির্দিষ্ট সময়ে (ভাইরাল সুইটস্পট) ভাইরাসের প্রবল সংক্রমণ (এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথ) শুরু হয়ে যায়। তখনও শক্তসমর্থ প্রতিরোধ গড়েই ওঠেনি। রাইনোভাইরাসের (Rhinovirus) ফলে ইন্টারফেরন ওই সুইটস্পটের আগেই সার্স কোভ-টু-এর বিরুদ্ধে কাজ শুরু করে, তার বেড়ে ওঠায় লাগাম দেয়। সার্স কোভ-টু-র সংক্রমণে ওই ভাইরাস-বিরোধী প্রতিরোধ শক্তি (antiviral defenses) কম থাকে। করোনাভাইরাস বেশি থাকার ফলে করোনা ছড়ায়। যাঁদের রাইনোভাইরাস সংক্রমণ ঘটে আগে, মানে যদি সর্দি হয়ে থাকে, তবে করোনার ভাইরালের চেয়ে তাদের করোনা-প্রতিরোধ শক্তি বেশি হয়। তবে ফক্সম্যান জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাস ও রাইনোভাইরাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সমীকরণের সবটা এখনও বোঝা যায়নি। এখনও রহস্য রয়েছে। তাই আরও গবেষণার প্রয়োজন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-06-22 09:22:45
Source link
Leave a Reply