হাইলাইটস
- সব মা-বাবাই মেয়েকে অনেক যত্ন নিয়ে মানুষ করেন।
- আর তাই যখন মনের মানুষের হাত ধরে মেয়ে অন্যের বাড়িতে চলে যান
- তখন ভালো লাগার সঙ্গে মিশে থাকে অনেক চিন্তা অনেক স্মৃতি
শ্রেয়া দেখল মা কেমন একটা রাগী রাগী মুখ করে তৈরি হচ্ছে। এদিকে সে তো উত্তেজনায় ফুটছে। সৌতৃককে সামনে পেয়ে একেবারে পুলিশের মতো জেরা করল শ্রেয়ার মা। সৌতৃক বেশ বুঝতে পারল মেয়েকে নিজের কাছছাড়া করতে চান না মা। সেই সঙ্গে এটাও বুঝল ওর মায়ের মন জুড়ে কীভাবে রয়েছে শ্রেয়া। যদিও মায়ের এই জেরাপনায় শ্রেয়া একটু বিরক্তই হয়েছে। তবে সৌতৃক কিন্তু মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে কীভাবে হবু শাশুড়ি মায়ের মন জয় করে নেবে। আপনার শাশুড়িও কী তাঁর কন্যাটিকে নিয়ে এতটাই অধিকারবোধে ভোগেন? জামাইষষ্ঠীর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়ার আগে পড়ে নিন টিপস।
তাঁকে আশ্বাস দিন- সব মা-বাবাই মেয়েকে অনেক যত্ন নিয়ে মানুষ করেন। আর তাই যখন মনের মানুষের হাত ধরে মেয়ে অন্যের বাড়িতে চলে যান তখন ভালো লাগার সঙ্গে মিশে থাকে অনেক চিন্তা অনেক স্মৃতি। মেয়ে মানিয়ে নিয়ে থাকতে পারবে কিনা, মেয়ে কেমন থাকবে, সব মিলিয়ে খুব চিন্তাতেই থাকেন তাঁরা। বেশিরভাগ মা-বাবার ক্ষেত্রেই এটা খুব সাধারণ। তাই তাঁকে আশ্বাস দিন সব ঠিক থাকবে। মেয়ে নিরাপদেই থাকবে।
খোলা মনে কথা বলুন- শাশুড়ির সঙ্গে খোলা মনে কথা বলুন। ভালো লাগা , খারাপ লাগা, কোনও কথায় আঘাত পেলে অবশ্যই মন খুলে বলুন। চেপে রাখবেন না। এতে ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। আপনার মনে কী চলছে বা আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখছেন তা শাশুড়িকে খুলে বলতেই পারেন।
কিছু সীমাবদ্ধতা অবশ্যই রাখুন- যে কোনও সম্পর্কেই একটা সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত। মন খুলে অবশ্যই মিশুন কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতা রাখুন। সব কথার মধ্যে যেমন তাঁকে টানবেন না তেমনই মা-মেয়ের সম্পর্কে অযথা ঢুকবেন না। আপনার সব কথাও যে তাঁকে বলতে হবে এমন নয়।
ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ নয়- কখনই কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ ঠিক নয়। সে যতই রাগ থাকুক না কেন। যদিও আজকাল সকলের মধ্যে এই প্রবণতা অনেক বেশি। সামান্য ঝামেলাতেই ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষকেই সচেতন হতে হবে। জামাইকে কখনও বলবেন না যে তোমার পরিবার খারাপ। বা তাঁর মা-বাবাকে নিয়ে অযতা প্রশ্ন করবেন না।
মাঝে মধ্যেই একসঙ্গে ঘুরতে যান- দুই পরিবারকে নিয়েই মাঝে মধ্যে ঘুরতে যান। সুযোগ থাকলে একসঙ্গে সিনেমাও দেখতে যেতে পারেন। এতে দুজনের মধ্যেকার সম্পর্ক ভালো হবে। সেই সঙ্গে দুই পরিবারের মধ্যেও ভালোবাসা, শ্রদ্ধা বজায় থাকবে।
সবার প্রতি সম মনোভাব থাকুক- মানুষ হিসেবে মানুষকে সম্মান দিতে শিখতে হবে। তাঁদের প্রত্যেকের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিন। কে কি বলতে চাইছেন সে কথা ঠান্ডা মাথায় শুনুন। সব সময় রেগে যাবেন তা নয়। সবাই যদি সবাইকে বুঝে চলতে পারেন তাহলে যে কোনও সম্পর্কই তরতরিয়ে ছুটবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-15 18:17:12
Source link
Leave a Reply