হাইলাইটস
- যাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে এরকম আচরণ করেন
- কোথাও একটা তাঁদের মানসিক সমস্যা থাকে।
- যেখান থেকে তাঁরা এরকম আচরণ করেন।
- তিনি ভাবেন বোধহয় রাশ আলগা করে সঙ্গী তাঁকে ছেড়ে চলে যাবেন
বাড়ির সব কাজ রিম্পা একা হাতে করতে চায়। সেখানে কৌস্তভকে কিছুই করতে দেয় না। কিন্তু সব করার পর আবার কথাও শোনাও। এছাড়াও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, নাইট আউট সবই বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়েছে কৌস্তভকে। কারণ এসব রিম্পার পছন্দ নয়। অফিস থেকে ফিরতে দেরি হলে মুখ গোমড়া হয়ে যায়। উইক এন্ডে বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে ব্যস্ত থাকলেও সেখানে রিম্পার আপত্তি। কৌস্তভকে কোথাও একা যেতে দেয় না। এছাড়াও নিজের পছন্দের জামাকাপড় ছাড়া কৌস্তভকে অন্য কিছু পরতেও দেয় না। সব মিলিয়ে মহা বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। কয়েকদিন হল কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে কৌস্তভ। কিন্তু এভাবে তো সমাধান হয় না! কৌস্তভের এক দিদি ওকে দারুণ একটা পরামর্শ দিল। আপনারও কি সঙ্গীর সঙ্গে এমন অশান্তি? তাহলে আপনিও কিন্তু একবার প্রয়োগ করতে পারেন।
কোথাও তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন- যাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে এরকম আচরণ করেন কোথাও একটা তাঁদের মানসিক সমস্যা থাকে। যেখান থেকে তাঁরা এরকম আচরণ করেন। তিনি ভাবেন বোধহয় রাশ আলগা করে সঙ্গী তাঁকে ছেড়ে চলে যাবেন। আর তাই আগে সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা করুন। যদি আপনার আচরণগত কোনও সমস্যা থাকে সেখানেও পরিবর্তন আনুন।
নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ঠিক নেই- কোথাও গিয়ে Communication এর সমস্যা হলেও এমনটা হয়। উপর থেকে মনে হয় সব ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা হয় ভেতরে। মন খুলে হয়তো সঙ্গী কথা বলতে পারছেন না। কিংবা তাঁর অসুবিধে টা বোঝাতে পারছেন না। যেখান থেকে এই সমস্যা।
বোঝাপড়া ঠিক নেই- একে অন্যের চাহিদা ঠিক বুঝতে না পারলেও এই সমস্যা হয়। সব সময় সব মানুষ যে একরকম হবেন এরকম নয়। প্রত্যেকের চাওয়া, পাওয়া, কথা সবই অন্যরকম। হয়তো আপনি এতদিন সঙ্গীকে অন্যরকম ভাবে বুঝেছেন আর তিনি তাঁর মতো করে। হয়তো তাঁর সব ইচ্ছেপূরণ হচ্ছে না।
ঠিকমতো সময় দিতে না পারা- অনেক সময় সময় দিতে না পারলে সম্পর্কে অনেক রকম সমস্যা আসে। হয়তো সঙ্গী যে সময়টা চাইছেন সেটা আপনি দিতে পারছেন না। তিনি যে সময়ে আপনাকে চাইছেন সেই সময়টা আপনি অন্যদের নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন। নিজের অজান্তেই অন্যদের বেশি সময় দিচ্ছেন। এসব থেকেও সম্পর্কে নানারকমের সমস্যা আসে।
অর্থনৈতিক সমস্যা- অর্থনীতি যে কোনও সম্পর্কেই বড় বিষয়। এই বিষয়টি নিয়ে সবারই আগে থেকে কথা বলে রাখা প্রয়োজন। নইলে সঙ্গী একরকম মানসিকতা নিয়ে আসবেন। পরে তা যদি পূরণ না বয় সেখান থেকে অশান্তি হতে বাধ্য। ভুল বোঝাবুঝিও আসে। সঙ্গীর মনে হয় অযথাই অন্যজন বেশি দাবি করছেন। এসব থেকে তখন তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-14 16:03:34
Source link
Leave a Reply