এর ফলে টীকার প্রথম ডোজ অকার্যকরী হয়ে যাবে? আবার কী নতুন করে টীকার প্রথম ডোজ নিতে হবে? টীকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে কতদিন পর্যন্ত দেরি করা সম্ভব? এরকম অনেক প্রশ্নই আমাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। দেখে নেওয়া যাক, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
করোনার যতগুলি ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত বেরিয়েছে, তার সবই দুই ডোজের ভ্যাকসিন। প্রথম ডোজটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং দ্বিতীয় ডোজ তা আরও শক্তিশালী করে এবং মেমোরি-বি কোষ তৈরি করে। এই মেমোরি-বি কোষ শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির কথা মনে রাখে। তাই নির্দিষ্ট টাইমলাইনের মধ্যে করোনার দুটি ডোজ নিয়ে নেওয়া জরুরি।
পর্যাপ্ত টীকার অভাব ছাড়াও বিভিন্ন কারণে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখ আপনি মিস করতে পারেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যবর্তী সময়ে করোনার সংক্রমণ, ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, টীকার প্রতি ভয় বা অন্য কোনও ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে টীকার দ্বিতীয় ডোজের তারিখ মিস হয়ে যেতে পারে। তবে তার জন্য আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। চেষ্টা করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে।
ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে কত দেরি হলে প্রথম ডোজের কার্যক্ষমতা কমে যায়, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নন গবেষকরা। তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নেওয়া জরুরি। তাই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দিনে কোনও কারণ টীকা নিতে পারলে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
তবে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে করোনা হয়ে গেলে ২-৩ মাস পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে না। কারণ করোনা হওয়ার পরে শরীরে কিছুদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক ইমিউনিটি কাজ করে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-12 13:09:05
Source link
Leave a Reply